Date : 2024-04-25

মিটল ২ মাসের বকেয়া। কিছুটা হলেও আন্দোলনের জয়ে খুশি ঠিকাকর্মীরা।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : দীর্ঘ আন্দোলনের পর দুমাসের বকেয়া টাকা পেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাকর্মীরা। করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই ছন্দে ফিরেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইনে পঠনপাঠন শুরুর সঙ্গে খুলেছিল হস্টেলও। হস্টেল খুললেও মিটছিল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাকর্মীদের সমস্যা। বাকি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাকর্মীদের মাস মাইনে। এনিয়ে আন্দোলনে নামেন তারা। অভিযোগ, কাজ করিয়ে নিয়ে সঠিক সময়ে মাইনে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনও ফল হয়নি। তাই অবশেষে আন্দোলনে সামিল হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৫টি হস্টেলের ঠিকাকর্মীরা।

১৫টি হস্টেলের রান্না বন্ধ করেদেন তারা। বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার ভাঙ্গা বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চুক্তিভিত্তিক ঠিকাকর্মীরা। হস্টেলের আবাসিক পড়ুয়ারাও তাদের পাশে দাঁড়ায়। বারবার বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা দিলেও তা মেটানো হয়নি। গত বুধবার তারা উপাচার্য ও সহ উপাচার্যের গাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন উপাচার্য ও সহ উপাচার্য।

ঠিকাকর্মীদের দাবি, লকডাউনের সময় নিয়োগকারী সংস্থাকে বিভিন্ন খরচ বাবদ এক কোটি টাকা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরেও লকডাউনের সময় ২১ মাসের ও পরের তিন মাসের ভাতা পাননি তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কাছে এবিষয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি বলেই জানান ঠিকাকর্মীরা। এর সঙ্গে কোনও দূর্নীতি আছে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই বক্তব্য ঠিকাকর্মীদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিয়োগকারী সংস্থাকে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবুও সেই টাকা পাননি ঠিকাকর্মীরা। আগের টাকা না মেটালে ঠিকাকর্মী নিয়োগকারী সংস্থাকে আপাতত আর টাকা দেওয়া হবে না বলেই সাফ কথা কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার ঠিকাকর্মীদের দু মাসের টাকা মিটিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ আন্দোলনের পর টাকা পেয়ে খুশি আন্দোলনকারীরা। বাকি রয়েছে এখনও টাকা। তবুও আবাসিকদের কথা ভেবে এবার তারা কাজে আবার অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে।