Date : 2024-04-26

নতুন ভবনে নতুন রুটিন। নেতাদের উপস্থিতির নতুন তালিকা জানালো তৃণমূল।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক:- দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার একটা কথা বলেন দলীয় নেতৃত্বকে। তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা তখন‌ই যথার্থ নেতা হতে পারবে যখন সে জনসংযোগে সেরা হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে প্রতিদিন নিয়ম করে পার্টি অফিস খুলতে হবে। সেখানে স্থানীয় নেতাদের নিয়ম করে বসতে হবে। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শুনতে হবে। দলনেত্রীর এই নির্দেশ মেনেই এবার দলের প্রধান কার্যালয়ে কে, কবে, কখন বসবেন তার তালিকা জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।

সোমবার থেকে রবিবার, সকাল এগারোটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই সময়কে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের জন্য আলাদা আলাদা করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। যেমন প্রায় প্রতিদিন সকাল এগারোটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জন্য বরাদ্দ। এই সময়ে কখনো দোলা সেন, কখনো ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ভবনে বসবেন। আবার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা এবং শনিবার একটা থেকে তিনটে। এই সময় ভবনে এলে মহিলা নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায়, শশী পাঁজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাবে। বিভিন্ন শাখা সংগঠনের জন্য সময় বরাদ্দ করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দলের বিষয়ে কেউ কোনো অভাব অভিযোগ জানাতে চাইলে, বা কোনো বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে চাইলে অথবা দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেমন মঙ্গলবার বিকাল তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দলীয় অফিসে বসবেন অরুপ বিশ্বাস, মলয় মজুমদার বা সঞ্জয় বক্সি। আবার শনিবার ঠিক ওই সময়েই ভবনে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশীষ কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা। কেন নেতাদের রুটিন মেনে হাজিরা দিতে হবে এই প্রশ্নে তালিকায় থাকা এক নেতা বললেন, “এটা তো ভালো ব্যবস্থা। আগেও ছিলো পুরানো তৃণমূল ভবনে। আসলে এতে একদিকে যেমন জনসংযোগের কাজটা করা যায় তেমনি প্রতিদিন জেলা থেকে দলীয় কর্মি ছাড়াও অসংখ্য সাধারণ মানুষ আসেন নিজেদের অভাব অভিযোগ নিয়ে। তাদের মনে হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলবে তাদের সমস্যার সমাধান সহজে হবে। আর অনেক সময়েই এইসব মানুষগুলোর সঙ্গে কথা বলে জেলার অনেক কথাই দলের নজরে চলে আসে।” কারণ যাই হোক না কেন, তপসিয়া রোডের তৃণমূল ভবনের রুটিন যে আবার নতুন করে নতুন ভবনে ফিরিয়ে আনা হল তা বলাই যায়।