Date : 2024-04-19

সিলেবাস শেষ করতে চলছে অনলাইনে ক্লাস

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : নেই সরকারি নির্দেশ। তবুও অভিভাবকদের দাবি মেনে ও পড়ুয়াদের কথা ভেবে নিজেদের উদ্যোগে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে শহরের বেশ কিছু সরকারি স্কুল।

তাপপ্রবাহের হাত থেকে ছাত্র ছাত্রীদের সুরক্ষায় এগিয়ে আনা হয়েছে গরমের ছুটি। নির্দেশ মেনে সরকারি স্কুলে টানা ৪৫দিন গরমের ছুটি। করোনার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। নতুন শিক্ষাবর্ষে পঠন পাঠনও শুরু হয়েছে একটু দেরিতে। তার উপর এতদিন টানা গরমের ছুটি থাকলে সিলেবাস কি ভাবে শেষ হবে তা ভাবিয়ে তুলেছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। বেসরকারি স্কুলে অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও সরকারি নির্দেশিকায় অনলাইনে ক্লাস করানোরও কোনও উল্লেখ নেই। তবে শহর কলকাতার বেশ কিছু স্কুল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের দাবি মেনে নিজেদের উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে এই ক্লাস বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষরা।

টাকি বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক জানান, ‘‘আমরা নবম, দশম ও একাদশ থেকে দ্বাদশে যারা উঠবে তাদের জন্য অনলাইন ক্লাস শুরু করেছি। নবম শ্রেণির পাঠ্যক্রম খুব বড়, তাই ওরাও অনলাইন ক্লাস করছে।’’ 
শাখাওয়াত মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পাঁপিয়া নাগ বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে যখনই স্কুল খোলা ছিল, তখনই বিভিন্ন ক্লাসের প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন আমরা শেষ করেছি। তাই প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন নিয়ে আমাদের পড়ুয়ারা চাপে নেই। পরবর্তী পাঠ্যক্রম অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে এগিয়ে রাখা হবে। তবে অনলাইনে যা যা পড়ানো হবে, পরে স্কুল খুললে প্রয়োজনে অফলাইনে আবার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’’

চলতি বছরে অনেক আগে স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় সব থেকে অসুবিধার মুখে পড়েছে নবম, দশম এবং একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। বেশ কিছু স্কুলে অভিভাবকেরা এনিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। অভিভাবকদের দাবি মেনে নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের কথা ভেবেই ক্লাস চলছে অনলাইনে।

তবে শহরের স্কুলগুলি অনলাইনে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারলেও। প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে পাঠরত পড়ুয়ারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকছে। তাই সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিটি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের কথা ভেবে, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অতিরিক্ত গরমের ছুটি কমানো আবেদনজানিয়েছেন শিক্ষকমহলের একাংশ। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।