সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৮ দিন। এতদিন পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন খেবরাজপুরের ঘটনায় এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নিল। এবার ওই পীড়িত পরিবারের সদস্যরা ন্যায় পাবে বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ নৃশংস ঘটনা ঘটে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। সেখানকার খেবরাজপুর গ্রামে একই পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনার পরপরই ২৪ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেসেরএকটি প্রতিনিধিদল পৌঁছায় খেবরাজপুরে। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, কাকলী ঘোষ দস্তিদার সহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করে ওই ঘটনায় মৃত পরিবারের জীবিত সদস্যদের সাথে। ওদের সাথে কথা বলে বোঝেন কি অসহায় অবস্থায় রয়েছেন তারা। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, বরং পীড়িত পরিবারই ভয়ে ভয়ে রয়েছে। সমস্ত কিছু দেখে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিষয়টি জানান দোলা সেনরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এরপর ২৯ তারিখ দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এর সঙ্গে দেখা করেন দোলা সেন, সাকেত গোখেল ও ললিতেশপতি ত্রিপাঠি। খেবরাজপুরের ঘটনা নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তুলে ধরেন তাঁরা। জানান যে কি নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে একই পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে, যার মধ্যে একটি দুই বছরের শিশুও রয়েছে। আরো জানান যে ঐ পরিবারের সদস্যরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের দাবিতে অবশেষে প্রয়াগরাজের খেবরাজপুরের ঘটনায় এফআইআর দায়ের করলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আপনাদের চাপেই কি এতদিন পরে হলেও এনএইচআরসি এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নিল ? এই প্রশ্নে তৃণমূল সাংসদ তথা দুই প্রতিনিধিদলে থাকা দোলা সেন জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে আমরা গিয়েছিলাম বলেই এনএইআরসি-র উপর চাপ পড়েছিলো। সেই জন্যই তারা এই ভূমিকা নিয়েছেন বলে মনে করছি। আমরা আশা করবো খেবরাজপুরের মানুষ, ইউপি-র গঙ্গা পাড়ের মানুষ সুবিচার পাবেন।”