শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক : আমরা জানি রক্তদান জীবনদান। রক্তসংকট থেকে বাঁচতে প্রতিবছর রক্তদান শিবির করা হয়। তবে কোভিড, লকডাইন এবং তীব্র গরমের কারনে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। কোভিড, লকডাউন পরিস্থিতির পর সে ভাবে রক্তদান শিবিরের সংগঠিত হয়নি। তার ফলে রক্তদানের পরিমাণ কমেছে। এই সবের মধ্যে তীব্র গরম যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ক্লাব, প্রতিষ্ঠানগুলো রক্তদান শিবির করে। রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ নিল কুমোরটুলি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন। কুমোরটুলি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক সৌমিত্র মুখার্জী জানান – রক্তের সংকটে যাতে রোগী ও রোগীর পরিবারদের পড়তে না হয় তার জন্যই এই প্রয়াস। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ ইউনিট রক্ত লাগে।
কিন্তু চাহিদা – জোগানে ঘাটতি থেকে যায়। রক্ত সংকটের কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের, ক্যান্সার রোগী, হার্ট ও কিডনির সমস্যাজনিত রোগীদের। এছাড়া এই রক্তদান উৎসবে বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন থেকে আসা হারাধন শাহা এবং তার বন্ধুরা। শুধু উপস্থিতি নয় , তারা রক্ত দানও করলেন। ইয়াস ঝড়ে এই সব সুন্দরবনে থাকা মানুষদের পাশে ছিল কুমোরটুলি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনএর সদস্যরা। সারা বছর ধরে কুমোরটুলি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন রক্তদান সহ বহু সামাজিকমূলক কাজ করে থাকেন। রক্তদান উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা মিতালি সাহা।