সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ এসএসসি নিয়োগ সহ নানা বিষয়ে দুর্নীতি, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা, পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে এসইউসিআই রাজ্য কমিটির গণ আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা। ধর্মতলায় দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে চলল সংঘর্ষ।
এদিন রামলীলা পার্ক থেকে মিছিল শুরু করে রানী রাসমণি এভিনিউর দিকে মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল বন্ধ করে দিতে চায় প্রথমেই। এসইউসিআই এর বহু কর্মী সমর্থককে প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অনেককে জোর করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে।
এস এন ব্যানার্জী রোডে আন্দোলনকারীদের দ্বিতীয় বারের জন্য আটকে দেওয়া হয়। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। গার্ডরেল ভেঙে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে বাদানুবাদ ঘটে পুলিশের সঙ্গে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনার জেরে বেশ খানিকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
এদিন মূলত মিছিল ধর্মতলা মোড়ে পৌঁছাতেই পথ আটকে দেয় পুলিশ। এরপর কার্যত নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়। জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে এসইউসিআই কর্মীদের।চ্যাংদোলা করে পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের। এসইউসিআই দলের বেশকিছু কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য, পলিটব্যুরো সদস্য অমিতাভ চ্যাটার্জি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্বপন ঘোষাল, অশোক সামন্ত, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন সাংসদ তরুণ মণ্ডল এবং প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর সহ অন্যান্য রাজ্য কমিটির নেতৃবৃন্দ।