Date : 2024-04-26

দেশজুড়ে যোগদিবস পালন, সারাদিন কিভাবে ফিট থাকবেন জেনে নিন

মঙ্গলবার গোটা দেশজুড়ে পালন হল যোগা দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি, অনুরাগ ঠাকুররা যোগ দিবস পালন করলেন। দেশবাসিকে সুস্থ থাকার বার্তা দিলেন তাঁরা। ক্রিকেটার মিতালি রাজ থেকে শাটলার পিভি সিন্ধু, যোগ দিবসে অংশ নিলেন। যোগ দিবসেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সেরাজ্যের বিভিন্ন স্কুলেই এবার থেকে যোগাসনের চর্চা করা হবে। নিত্যদিন বহু মানুষ যে পরিমাণ খাবার খান, সেই পরিমাণ শক্তিক্ষয় বা ব্যাম করে না। ফলে শরীর সুস্থ রাখতে যোগ, ব্যামে প্রয়োজনিয়তা অপরিসিম। কিন্তু অফিস বা ব্যবসার নিত্য কাজের মধ্যে কিভাবে ফিট থাকা যায়। নিদেনপক্ষে সুস্থ থাকার জন্য সাধারণ মানুষের ঠিক কোন কোন কাজটা করা প্রয়োজন, বললেন ফিটনেস ট্রেনার গৌতম পারুই।

গৌতমের কথায়, “সকালেই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে আমলার রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বেলার দিকে একটা ফল মাস্ট। শরিরকে সুস্থ এবং প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ফলের গুরুত্ব অপরিসিম। বিশেষত পেয়ারা, তাই এই ফলটি সকালের টিফিন হোক না দুপুরের লাঞ্চের পর একটি হলেও খাওয়া অবশ্যক। দুপুরে ভাত যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তার পরিবর্তে ওটস বা ডালিয়া জাতীয় খাদ্যের অভ্যাস করানো উচিত। যা কর্মক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াবে, পাশাপাশি শরীরের মেদ বাড়াবে না। হাল্কা তেলে রান্না করা সবজি, এবং দুটি ডিম। ডিমে প্রোটিন আছে, যা শরীরে ক্ষত স্থান মেরামত এবং শক্তির পুরণ করবে। মানুষের শরীরের ওজন অনুযায়ি, নির্দিষ্ট প্রোটিন খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ৭০ কেজি ওজনের ব্যক্তির কমপক্ষে ৭০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। সন্ধ্যে বেলা গ্রিন টি, এরপর হাল্কা স্ন্যাক্স খাওয়া যেতে পারে। রাতে যাই খান, চেষ্টা করুণ ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে ডিনার সাড়তে। সেক্ষেত্রে খাবারের সমস্ত পুষ্টিগুলো শরীরে পৌঁছাতে পারবে। শর্করা জাতীয় খাবার রাতে কম খান। নাহলে অতিরিক্ত শর্করা শরীরে জমে টাইপ টু ডায়বেটিস হতে পারে। বিভিন্ন খাবারের বিভিন্ন পুষ্টিগুন থাকে। সেগুলো দেখে, কম শর্করা আছে অথচ অন্যান্য পুষ্টিগুন আছে, এমন খাবার খেলে শরীরে ডায়বেটিস থাবা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে”।

এ তো গেল খাদ্যভাসের তত্ব। সারাদিন কাজের ফাঁকে কোন যোগ বা ব্যম করা বাধ্যতামুল। একান্তই যদি যোগাসন বা জিমে যাওয়ার সুযোগ না পান, তাহলে কি করণীয়। ফিটনেস ট্রেনার গৌতমের কথায়, “দিনে আধ ঘন্টা হাঁটতেই হবে। সকাল হোক বা রাত, যে কোনও ধরনের রোগ, বিশেষত মধুমেয় রোগ এড়াতে হাঁটা মাস্ট। সেই সঙ্গে দিনের যে কোনও সময় চার রকমের শরীরচর্চা করা উচিত। প্রথমত পশ্চিমোত্তানাসন। দ্বিতীয়ত জাম্পিং জ্যাকস। তৃতীয়ত বার পিস এবং চতুর্থত অফিস বা কাজের মধ্যেই সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করুণ। সেক্ষেত্রে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি জমবে না এবং ফিট থাকতে পারবেন “