Date : 2024-04-27

আইএফএ-তে সচিব অনির্বাণ, সহ-সভাপতি পদে স্বমহিমায় স্বরূপ

সোমবার আইএফএ-র নতুন গভার্নিং বডির প্রথম সভায় নির্বাচিত হয়ে গেল নতুন সচিবের নাম। আইএফএর নতুন সচিব নির্বাচিত হলেন অণির্বাণ দত্ত। দীর্ঘদিন আইএফএ চালিয়েছেন দত্ত পরিবারের সদস্যরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। সুব্রত দত্ত-সহ আইএফএর গভার্নিং বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে সচিবের চেয়ারে বসলেন কয়েক মাস কোষাধ্যক্ষ্যের দায়িত্ব পালন করা অনির্বাণ দত্ত। সহ-সভাপতি পদে চমক দিয়ে এলেন স্বরূপ বিশ্বাস। দক্ষিণ কলকাতার দাপুটে নেতা দীর্ঘদিন ধরেই সুরুচী সঙ্ঘের ফুটবল দলের সঙ্গে জড়িত। ময়দানের ফুটবলেও তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। আইএফএ-তে তারুণ্যের শক্তিকে গুরুত্ব দিতে সহ সভাপতি পদে স্বরূপের সঙ্গেই আসলেন সাদার্ন সমিতির কর্তা সৌরভ পাল, বিশ্বজিত ভাদু়ড়িরা। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন দেবাশিস সরকার। সর্বসম্মত ভাবেই সভাপতি পদে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চেয়ারম্যান পদে সুব্রত দত্ত মনোনীত হন। শেষ কয়েক বছরের আইএফএ-কে খলনলচে বদলে দিতে চেয়েছেন প্রাক্তন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ফলে তার চেয়ারে বসে প্রতিনিয়ত জয়দীপের ছায়ার সঙ্গে লড়াই চলবে অনির্বাণের। কলকাতার লিগে মোহনবাগানকে খেলানোর চ্যালেঞ্জও তাঁর সামনে। জেলা স্তর এবং বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় উন্নতি করাই এখন একমাত্র লক্ষ্যে আইএফএ-র সহ সভাপতিদের।

সচিব পদে এসে অনির্বাণ দত্ত জানান,”এই মূহূর্তে প্রথম কাজ কলকাতা লিগ সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করা। এমন একটা সময় এসেছি, যখন কলকাতা লিগ নিয়ে কোনও কিছুই হয়নি। এবার সব ক্লাবের সঙ্গে কথা বলব। আশা করব সব বড় ক্লাবই বাংলার ফুটবলের স্বার্থে এগিয়ে আসবে। মোহনবাগানের সঙ্গে কথা বলব। চেষ্টার করব তাঁদের কলকাতা লিগে খেলানোর”।

খাতায় কলমে সচিব, সহ সভাপতিরা এদিন নির্বাচিত হলেও সব লাইমলাইটই কেড়ে নিলেন স্বরূপ বিশ্বাস। লক্ষ, লক্ষ মানুষের

আবেগ যেই পুজোকে ঘিরে, সেই সুরুচী সঙ্ঘকে দীর্ঘদিন চালিয়ে এসেছে। এবার বাঙালির আরেক উত্্সব ফুটবলের সঙ্গেও

অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেলেন স্বরূপ বিশ্বাস। পূর্বাভাসকে সত্যি করে আইএফএ-র নবনির্বাচিত সহ সভাপতি পদে বসে স্বরূপ

বিশ্বাস বলেন,” চ্যালেঞ্জ নিতেই এসেছি। বাংলা ফুটবলের উন্নতির চ্যালেঞ্জ। টিম আইএফএ হিসেবে কাজ করব। এতদিন ধরে যে

প্রতিযোগিতাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেই সমস্ত কলেজ বা জেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ফের শুরু করব। যাতে বাংলার ফুটবলের

সাপ্লাই লাইন গড়ে ওঠে। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল বাংলা ফুটবলের দুই ধারক এবং বাহক। তাই আশা করব বাংলা ফুটবলের

স্বার্থে তারা দুজনেই পাশে থাকবে”