Date : 2024-04-19

বাড়ল স্কুলের গরমের ছুটি। ২৬ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : বাড়ল স্কুলের গরমের ছুটি। ১৫ জুনের পরিবর্তে ২৬ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের।

উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটলেও। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। হাঁসফাঁস দশা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তীব্র দাবদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই, ঘটছে দুর্ঘটনাও। রবিবার পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে যোগ দিতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন পুণ্যার্থীর। এই ঘটনায় কার্যত নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রচন্ড গরম ও তাপপ্রবাহের হাত থেকে ছাত্রছাত্রীদের রেহাই দিতে এগিয়ে আনা হয়েছিল গ্রীষ্মকালীন ছুটি। ২ মে গরমের ছুটি পড়ে। ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। চলতি সপ্তাহেই গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হয়ে স্কুল খোলার কথা। তবে স্কুল খোলার আগেই বাড়ানো হল গ্রীষ্মের ছুটি। তীব্র গরম ও আর্দ্রতার কারণে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে। আপাতত ২৬ জুন পর্যন্ত ছুটি, ২৭ জুন থেকে স্কুল খোলার কথা। নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এতদিন ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি ছিল।সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গরমের ছুটি আরও ১১ দিন বাড়ল। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিকেও এবিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছে।তবে এখনই উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর স্কুলগুলিতে বাড়ানো হচ্ছে না ছুটির মেয়াদ বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও আবহাওয়ার যদি পরিবর্তন ঘটে তাহলে ছুটি নিয়ে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।

করেনার জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। অনলাইনে ক্লাস চলার পর মাস কয়েক আগেই খুলেছে স্কুলের দরজা। কিন্তু কিছুদিন ক্লাস হওয়ার পর তীব্র তাপপ্রবাহের হাত থেকে ছাত্রছাত্রীদের রেহাই দিতে গরমের ছুটি পড়ে যায়। যার ফলে আবারও পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একটানা ৪৫ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। গরমের অতিরিক্ত ছুটি কমানো হোক। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন শিক্ষকমহলের একাংশের।এ বার শিক্ষাবর্ষ অনেকটাই দেরিতে শুরু হয়েছে। ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনাতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় দেড় মাস ছুটি হয়ে গেলে তারা আরও পিছিয়ে পড়বে আশঙ্কা করেন শিক্ষকমহল। মোটামুটিভাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বর্ষা প্রবেশ করলে মিলবে স্বস্তি, পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ায় আর কোনও সমস্যা থাকবে না। কিন্তু, সেই হিসেব মিলছে না। জুন মাসের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলও বৃষ্টির কোনও দেখা নেই। তাপমাত্রার পারদ যথেষ্ট ওপরে, আর প্রবল অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। তাই ফের বাড়ল স্কুলে গরমের ছুটি। তবে ফের ছুটি না বাড়ানোর আর্জি শিক্ষকমহলের একাংশের।