Date : 2024-04-20

কলকাতার রাস্তায় যানজট এড়াতে নয়া উদ্যোগ পরিবহন দফতরের। ট্রামের বদলে ই-বাস।

সঞ্জু সুর , সাংবাদিক:- কলকাতার রাস্তা মানেই হলুদ ট্যাক্সি আর ট্রাম। এ যেন এক নস্টালজিয়া। একদিকে অ্যাপ ক্যাবের ঠেলায় হলুদ ট্যাক্সি ক্রমশঃ কমছে শহরের রাস্তায়। আর সময়ের দাবি মেনে এবার কোপ পড়তে চলেছে ট্রামের উপর। তবে একেবারে তুলে না দিয়ে হেরিটেজ হিসাবে কিছু রুটে চলবে ট্রাম। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় জানালেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতার রাস্তায় ট্রাম চলছে সেই কবে থেকে। টুং টুং আওয়াজ তুলে শহরের বড় রাস্তা চিরে ধীর গতিতে এগিয়ে যাওয়া ট্রাম, শহরের গতির সঙ্গে আর পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না। এক তো রাস্তার মাঝখান দিয়ে ট্র্যাক হ‌ওয়ায় পিছনে থাকা গাড়ি গতি হারায়, পাশাপাশি মাঝ রাস্তায় একবার খারাপ হয়ে গেলে তো ব্যস, পুরো এলাকা তখন ট্রাফিক জ্যামের কবলে। অনেকদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন শহর কলকাতা থেকে ট্রাম তুলে দিয়ে তা শহরতলির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। রাজ্য সরকার‌ও ভবিষ্যতে তেমন রাস্তায় হাঁটতে পারে। তবে এখন একেবারে ট্রাম তুলে না দিয়ে শহরের যে সব রাস্তায় অপেক্ষাকৃত কম ট্রাফিকের ভিড় থাকে তেমন রাস্তায় ট্রাম চালানোর পক্ষপাতি সরকার।

বৃহস্পতিবারের বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে পরিবহন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, “একেবারে ট্রাম তুলে দেওয়া হবে না। খিদিরপুর-ধর্মতলা রুটের মতো কিছু রুটে আগের মতোই ট্রাম চলবে। পাশাপাশি হেরিটেজ রাইড ও থাকবে। তবে আমাদের আস্তে আস্তে ই-বাসের দিকে যেতেই হবে।” পরিবহন মন্ত্রী আরো জানান, “ট্রামের পরিবর্তে আমরা ভাবছি ইলেকট্রিক ট্রলি বাসের কথা।” কারণ হিসাবে তিনি জানান, “যেহেতু ট্রামের একটা নেটওয়ার্ক অলরেডি রয়েছে, ফলে সেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রিক ট্রলি বাস চালাতে অসুবিধা হবে না।” এই প্রসঙ্গেই পরিবহন মন্ত্রী কেন্দ্রের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, “আমরা চাইছি ব্যাটারি চালিত বাসের দিকে চলে যেতে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার পর্যাপ্ত লিথিয়াম ব্যাটারির যোগানের বিষয়ে এখনো কিছু ভাবেনি। আদানির জন্য খনি কিনতে অষ্ট্রেলিয়ায় যেতে পারে, কিন্তু লিথিয়াম ব্যাটারির বিষয়ে ভাবনা চিন্তা নেই।”


এদিন পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “ডিজেলের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে পরিবহন দফতর সমস্ত বাস ব্যাটারিতে কনভার্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বিধানসভায় ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ইতিমধ্যেই ৭৬ টি চার্জিং স্টেশন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০০ টি ই-বাস চলছে। আগামি বর্ষে আরো ৪০০ টি এবং ২০২৪ এর মার্চ মাসের মধ্যে আরো ৪০০ টি ই-বাস চলে আসবে।