Date : 2024-04-19

উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র সহজ তবুও ফেল লাখ খানেক পরীক্ষার্থী

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক:- ১০জুন ৪৪ দিনের মাথায় প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। এবার হোম সেন্টারে অর্থাৎ পরীক্ষার্থীরা নিজের স্কুলে বসে পরীক্ষা দিয়েছে। এবারে পাশের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ।এবার পরীক্ষার জন্য আবেদন করে ৭লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৫৫ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে পরীক্ষায় বসে ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬২ জন। যার মধ্যে পাশ করেছে ৬লক্ষ ৩৬হাজার ৮৭৫ জন।৷ আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯৮৭জন।

হোমসেন্টারে পরিচিত পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে যেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের ২২জন পরীক্ষার্থী মেধাতালিকা স্থান পেয়েছে। যা নজর কাড়ার মতো বলেই মত শিক্ষকমহলের তেমনই প্রায় লাখ খানেক পরীক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়াটাও নজর কাড়ছে। সংসদ সভাপতির মতে, অন্যবছরের তুলনায় এবারের প্রশ্নপত্র সহজ হয়েছিল। পাশাপাশি সম্পূর্ণ সিলেবাসেও হয়নি পরীক্ষা। যারজন্য পাশের হার যেমন বেড়েছে তেমনই মেধাতালিকা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭২ জন। যা সংসদের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। তবুও কেন প্রায় লাখ খানেক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য। যা চোখে পড়ার মতো। শুধু মাত্র প্রত্যন্ত গ্রামের নয় শহরের নামী স্কুলেও অনেক পড়ুয়াই কৃতকার্য হতে পারেনি।

অকৃতকার্য হওয়ার পিছনে পড়াশোনার প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল বলে মন করছেন শিক্ষকমহলের একাংশের। প্রশ্নপত্রে মাল্টিপল চয়েস ও শর্ট টাইপ যে উত্তরগুলো দিতে হয়েছে তা খুব সহজ ছিল বলে মত শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের। অনেক সময় অধিক টপনশনে পড়ুয়ারা জানা প্রশ্নেরও ভুল উত্তর লিখে ফেলেন। তারজন্য পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং হওয়া দরকার। প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে পড়ুয়াদের পরীক্ষাভীতি দূর করতে কাউন্সেলিং হয়। যা তাদের উপকৃত করে। যা এখানে তেমন ভাবে হয়না বলে মত মনোবিদদের। কাউন্সেলিং পড়ুয়াদের ভীতি দূর করতে সাহায্য করে বলেও মত তাদের।