Date : 2024-04-26

পাহাড়ের পথে মুখ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ। হেঁটে ঘুরলেন কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : পাহাড়ে আসলে নিজের মতো করে পাহাড়বাসীর সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও তেমনভাবে অবলীলায় হেঁটে বেড়ালেন পাহাড়ের পাকদন্ডী। মিশলেন পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালোবাসেন। তা সে সমতল হোক বা পাহাড়। মঙ্গলবার জিটিএ সভাসদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে পাহাড়ি পথে হাঁটার সময় ফুচকা তৈরি করে বাচ্ছাদের খাওয়াতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী কে। বুধবার সকালে প্রায় ঘন্টা দু’য়েক পাহাড়ের রাস্তায় হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। রিচমন্ড হিল রোড, রাজভবন ছাড়িয়ে দার্জিলিং বাজার। সেখান থেকে চৌরাস্তা হয়ে এ জে সি বোস রোড, নেহেরু রোড, টিভি টাওয়ার এলাকা ঘুরে পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন তিনি। হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ একটি সবজির দোকানে ঢুকে পড়ে দোকানদারের কাছে জানতে চান পেঁয়াজ কোথা থেকে আনেন। দোকানদার বলেন নাসিক থেকে। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন এখন তো আমাদের রাজ্যেই খুব ভালো পেঁয়াজ তৈরি হচ্ছে। তার দাম‌ও কম।

তখনই এক দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী কে দেখে সেলফি তোলার আবদার জানান। সেলফি না তুললেও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তিনি। ওই দম্পতি কাশ্মীর থেকে এসেছেন শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর আমি খুব ভালোবাসি। আপনারা ভালো করে ঘুরুন।” এরপরেই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বেশ কয়েকটি বাচ্ছাকে আদর করেন তিনি। বাচ্ছাদের হাতে চকোলেট, টফি তুলে দেন। বলেন, আজ তো গুরু পূর্নিমা। আমার কাছে আজ শিশুদিবস। বাচ্ছাদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।

রাস্তাতেই আরো একটি দোকানে ‘বেবি ব্যাম্বু’ বিক্রি হতে দেখে সেই বিষয়ে খোঁজ নিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী কে। পাহাড়ের বিখ্যাত ‘ডালে’ লঙ্কা হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ এই লঙ্কা একটা গোটা খেতে পারে তাহলে আমি তাকে মাংস ভাত খাওয়াবো। হাসির রোল ওঠে তখন। ফেরার পথে জিমখানা ক্লাবের পাশে একটা জায়গায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি দেখে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক এস পোনামবালম কে ডেকে বলেন এই জায়গাটা একটু ভালো করে সাজান। গান্ধীজীর মূর্তির পাশে বিবেকানন্দ ও নেতাজির মূর্তি বসানোর কথাও বলেন তিনি। জেলাশাসক কে জানান তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মাধ্যমে কাজটা করাতে।