নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: রবিবার পাম সাইড ক্লাবের তরফ থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। গত দু বছর করোনার জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়নি। তবে এখন করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই আগের মতোই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি এদিন একটি ব্লাড অ্যাপের উদ্বোধন করেন উদ্যোক্তারা। এই অ্যাপের সাহায্যে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে কোন গ্রুপের রক্ত কত ইউনিট আছে তা জানা যাবে। যা মানুষের অনেকটাই উপকারে লাগবে বলে মত উদ্যোক্তাদের।
করোনাকালে সংক্রমণের আশঙ্কায় শহর ও শহরতলিতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছিল রক্তদান শিবির। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছিল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। রক্তের চাহিদা পুরনে এগিয়ে আসতে হয়েছিল হাসপাতাল কর্মীদের। করোনাকালে রোগীর জীবন বাঁচাতে এই উদ্যোগ নেন হাসপাতাল কর্মীরা।
করোনাকালে রক্তের সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে থ্যালাসেমিয়া,হিমোফিলিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুরা। এদের নিয়মিত রক্তের যোগান পেতে হিমশিম অবস্থা হয়েছিল। অসুস্থ রোগী নিয়ে অথৈ জলে পড়েছে পরিবারগুলি।
পাশাপাশি নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের আকাল ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছিল। তবে পজিটিভ রক্তের ঘটতিও যে ছিল না তা কিন্তু নয়। বিশেষত এবি পজেটিভ রক্ত ঘাটতি অত্যন্ত বেশি বলেই জানা গিয়েছিল। কোনও রোগীর ৪ ইউনিট রক্ত লাগলে তখন শুধুমাত্র এক ইউনিট পাওয়া যাচ্ছিল। বাকিটা ডোনার পুরোন করছিল।
করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই সেই সংকট কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করছে। রবিবার তেমনই একটি রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়েছিল বৈঠক খানার ৪৩ নম্বর স্কট লেনে। পাশাপাশি এদিন যে অ্যাপ চালু করা হয়েছে সেই অ্যাপের সাহায্যে এই রাজ্যের যেকোন মানুষ সরকারি বা বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে কোন গ্রুপের রক্ত কত ইউনিট আছে তা জানতে পারবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপটি আপডেট করা হবে। এতে রোগীদের চিকিৎসায় সুবিধা হবে বলে মত চিকিৎসকমহলের।