সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: বর্ষাকাল মানেই মশার উপদ্রব। বিশেষ করে সন্ধের পরে সেই উপদ্রব খানিকটা বেড়ে যায়। মশার হাত থেকে বাঁচতে জৈব পদ্ধতিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরফলে শরীর সুস্থ থাকবে পাশাপাশি মশার উপদ্রব থাকবে না। মশা মারার ধুপ বা ইলেকট্রিক কয়েল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। অনেকেই সেগুলির ব্যবহার করতে চান না। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ থেকে নিস্তার পেতে বাধ্য হয়েই মশা মারার ধুপ বা ইলেকট্রিক কয়েল ব্যবহার করতে হয়। জৈব উপায়ে মশা তাড়ানো যাবে ঠিক এইভাবে। প্রথমে আপনাকে একটি মাটির প্রদীপ নিয়ে নিতে হবে এবং তার মধ্যে দিতে হবে এক চামচ রসুন বাটা। এর মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে কিছুটা পরিমাণ তেজ পাতা গুঁড়ো এবং সামান্য পরিমাণ কর্পূর গুঁড়ো।

সমস্ত উপকরণ গুলিকে ভাল করে মিশিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিন সরষের তেল। দেখে নিতে হবে সমস্ত উপকরণগুলি যাতে সরষের তেলের মধ্যে নিমজ্জিত অবস্থায় থাকে। এরপর একটি সলতে যোগ করে দিন তার মধ্যে এবং প্রদীপটি ধরিয়ে দিন। এর ফলে যে ধোঁয়া নির্গত হবে সেখান থেকে আপনার বাড়ির আনাচে-কানাচে থাকা মশা বাড়ির বাইরে চলে যাবে। এতে শরীরেরও কোনও ক্ষতি হবে না। অত্যন্ত কম খরচে মশা তাড়ানোর এর থেকে সহজ উপায় না বললেই চলে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যদি ৮ ঘন্টা আপনি কোন কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে সেটি ১৪০ টি সিগারেটের ধোঁয়া উৎপন্ন করে যেটি সরাসরি আপনার মধ্যে শোষিত হয়। যা আপনার হার্ট- ফুসফুস এবং শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে। তাই জৈবিক প্রক্রিয়াতে এক বছর টানা মশামুক্ত ঘর রাখার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।