সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ মিলল না জামিন। জেলেই স্থান হল পার্থ অর্পিতার। দুজনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৮ই আগস্ট তাদের ফের পেশ করা হবে আদালতে।
শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থ ও অর্পিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এরপর ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় তাদের। সওয়াল জবাব শেষে বিচারক জানান, আপাতত পার্থ এবং অর্পিতা দু’জনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজত। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকবেন প্রেসিডেন্সিতে এবং অর্পিতার ঠিকানা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার। দু’জনেরই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। একজন তদন্তকারী আধিকারিক জেলে গিয়ে তাদের জেরা করতে পারবেন।
আজ আদালতে পার্থর আইনজীবি জানান ‘৩১টি এলআইসি, অন্যান্য নথি সব ভুয়ো। একমাত্র রক্তের সম্পর্ক থাকলেই নমিনি করা যায়। অর্পিতার সঙ্গে কোন ব্লাড রিলেশন নেই। যা কিছু পাওয়া গেছে সব অর্পিতার বাড়ি থেকে। কেউ এসে দাবি করেনি পার্থ চাকরির বিনিময়ে ঘুষ চেয়েছেন। এই নিয়ে কোন তথ্যপ্রমাণও নেই। প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী সাবস্ত্য করা যায় কীভাবে? তার জামিন পাওয়া উচিত। তার ৭২ বছর বয়স এবং নিয়মিত ওষুধে থাকতে হচ্ছে। আমরা জামিন চাইছি’।
তিনি আরও বলেন ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন কোনও পদে নেই। দরকারে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। অর্থাৎ ইডি যে প্রভাবশালী তত্ত্ব দিচ্ছে তা ঠিক নয়।পার্থর কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করা হয়নি। উনি কোথাও পালিয়ে যাবেন না। উনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন।
তবে এতকিছু বলেও কোন লাভ হল না। জেলেই যেতে হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তার বান্ধবীকে।