Date : 2024-04-25

ধন্যবাদ ইউনেস্কো। দুর্গাপুজো নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ বাঙালীর চিরন্তন উৎসব দুর্গোৎসব। সেই দুর্গোৎসব কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো‌। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এতবড় একটা স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানো হবে এবছর ১ সেপ্টেম্বর। কিভাবে কি হবে, তার জন্য প্রস্তুতি বৈঠক ডাকলো নবান্ন। আগামি ২২ আগস্ট নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে হবে সেই বৈঠক।

দুর্গাপুজো কে ‘ইনট্যাঞ্জিবল হেরিটেজ’- এর তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। যে তকমা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ টুইট করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগেই এই স্বীকৃতি এসেছে বলে মনে করেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রথম থেকেই এই বিষয়টি (ইউনেস্কোর স্বীকৃতি) নিয়ে যথেষ্ট আপ্লুত। তিনি নিজেই অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কো কে ধন্যবাদ জানানো হবে। দিনক্ষণ ও ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই মোতাবেক ১ সেপ্টেম্বর সারা রাজ্যজুড়ে ‘ধন্যবাদ ইউনেস্কো’ ব্যানার সহ মিছিল করা হবে। কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয়ভাবে যে মিছিল হবে তাতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রীসভার অনেক প্রতিনিধি। ওইদিন উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হবে টাউন হলে।

জেলাস্তরেও এমন মিছিল করা হবে। মুলত সরকারি উদ্যোগেই হবে এই মিছিল। তবে সেখানে সব পুজো কমিটির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এই বিষয়ে মঙ্গলবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেখানেই ঠিক হয়েছে ১ সেপ্টেম্বরের সমগ্র অনুষ্ঠান টি কিভাবে কি হবে তা ঠিক করতে আগামি ২২ আগষ্ট একটি প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার পুজো কমিটিগুলোকে যেমন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে, তেমনি জেলাস্তরেও বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলো যাতে ভার্চুয়াল মোডে ওইদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকে তারজন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বরের সেলিব্রেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা আছে, যেটা ওইদিন তিনি জানাবেন বলেই মনে করছেন নবান্নের কর্তারা। পাশাপাশি এবারের দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলোকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী ওইদিন ঘোষনা করতে পারেন। সম্ভবতঃ দুই বছর আগেকার আর্থিক বরাদ্দ‌ই এবার‌ও বজায় থাকবে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, ফলে সরকারের ভাঁড়ারে টান থাকলেও এই বিষয়ে কার্পণ্য করার দিকে মুখ্যমন্ত্রী হাঁটবেন না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।