Date : 2024-04-24

এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব এসএফআই।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক:- এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে জোরদার আন্দোলনে সামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর। গত পাঁচ বছর ধরে সামগ্রিক ভাবে হয়নি ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ২০১৭ সালে শেষবার রাজ্য জুড়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তারপর ২০১৯-২০ সালে রাজ্যের মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভাবে নির্বাচন হয়। তবে হয়নি সামগ্রিকভাবে নির্বাচন।

তৃণমূল সরকার ছাত্র ইউনিয়ন তুলে দিয়ে কাউন্সিল নিয়ে এসেছে । যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে শিক্ষামহলে। ইউনিয়ন ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয় প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন নেওয়ার কথা ঘোষণা হয়নি। তবে ছাত্র আন্দোলনের চাপে ২০১৯-২০ সালে রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের দায়িত্বে নির্বাচন আয়োজনের অনুমতি মেলে। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়ামন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় হয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তবে রাজ্যের অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২০১৭ সালের পর আর ভোটের দামামা বাজেনি। যার ফলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মত বাম ছাত্র সংগঠনগুলির। তাই তড়িঘড়ি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হোক বলে দাবি তুলছে বাম ছাত্রযুবরা।

করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রায় বছর দুই বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনলাইনেই চলছিল পঠন পাঠন। করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই খুলেছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ কমতেই নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছিল চলতি বছরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নেওয়া হতে পারে সিদ্ধান্ত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, “আমরা চাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক। আমরা নির্বাচনের পক্ষে। আমরা ইতিমধ্যেই অধ্যাপক সমিতির সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথাবার্তা বলেছি। তবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যতক্ষণ না অনুমতি দিচ্ছেন ততক্ষণ আমরা এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।” অর্থাৎ নবান্নের গ্রীন সিগনাল মিললেই বাজবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দামামা।তবে আর কত দিনের অপেক্ষা। এমনই প্রশ্ন তুলছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। তাই পুজোর পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে এসএফআই।