Date : 2024-04-26

পুজোর আগেই হাতে নতুন ইউনিফর্ম। খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : স্কুলের ইউনিফর্ম নীল-সাদা করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্যের স্কুল গুলোতে সেই নীল-সাদা পোষাক পৌঁছে দেওয়ার কাজ‌ও চলছে জোরকদমে। আলিপুরদুয়ার জেলায় লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই পোষাক।

পুজোর আগেই স্কুলের পোষাক পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। ছাত্র-ছাত্রীদের দুই সেট করে পোষাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলাকে বিশেষ ড্রাইভ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিলো।

মুখ্যসচিব‌ও বৈঠক করে জেলা প্রশাসনগুলোকে জানিয়েছিলেন যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পোষাক পৌঁছে যায়। সরকারের নির্দেশমতো আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সেই পোষাক পৌঁছে দিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার মোট ১৬২৫ টি স্কুলের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ছাত্রছাত্রীর হাতে স্কুলের ইউনিফর্ম তুলে দেওয়া হয়েছে।

জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এই পোষাক তুলে দেওয়া হল। ছাত্র-ছাত্রীরাও বেশ খুশি নতুন ইউনিফর্ম পেয়ে।

জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা খুব যত্ন নিয়েই পোষাক তৈরি করেছে।” তিনি আরও জানান, “পুজোর আগেই এই পোষাক ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি।” এই পোষাক তৈরির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা উপদেশ ছিলো যে যাতে কোনো বেসরকারি সংস্থাকে পোষাক তৈরির বরাত না দিয়ে তা যদি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হয় তাহলে তারাও পুজোর আগে কিছুটা অতিরিক্ত রোজগারের মুখ দেখবে।

মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশ মতোই সবকটি জেলাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই পোষাক তৈরী করেছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই জেলার মোট ২৭ টি সেন্টারে প্রায় এক হাজারের বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই পোষাক তৈরী করেছেন। আলিপুরদুয়ার পুরসভা এলাকায় একটি সেন্টার সহ কুমারগ্রাম, কালচিনি, ফালাকাটা, মদারিহাট প্রভৃতি ব্লকের ২৭ টি সেন্টারে এই পোষাক তৈরি করা হয়েছে।