সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : বৃষ্টি বিঘ্নিত রেড রোডের কুচকাওয়াজে তখন ঝাড়গ্রামের শিল্পীরা পরিবেশন করছেন আদিবাসী নৃত্য। হঠাৎ ই মঞ্চ থেকে নিচে নেমে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেকে নিলেন মন্ত্রীসভায় তাঁর সহকর্মী বন ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী দফতরের মন্ত্রী জঙ্গলমহলের মেয়ে বীরবাহা হাঁসদা কে। নৃত্যের ছন্দে পা মেলালেন দুজনে। মূহুর্তে পাল্টে গেল পরিবেশ। করোনার জেরে দুই বছর রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ হয় নি। ফলে এই বছর সাজ সাজ রব একটু বেশিই ছিলো। প্রস্তুতিও তেমনভাবেই নেওয়া হয়েছিলো।

সকাল পৌনে দশটা নাগাদ যখন মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডের উত্তর দিকে পুলিশ মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হেঁটে মঞ্চের দিকে এগিয়ে এলেন তখনও আকাশে ঝলমল করছে রোদ।


পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত এর পর মনিপুরে ভুমি ধসে নিহত আমাদের রাজ্যের ২১ জন জওয়ানের পরিবারের হাতে দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক ও পরিবারের একজনের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তারপর তিনি কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেওয়া রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের মোট এগারোজন পুলিশ কর্তাকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মেডেল’ দিয়ে সন্মানিত করেন। এরপর শুরু হয় কুচকাওয়াজ।

মার্চ পাস্ট কিছুটা হতে না হতেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামলো।রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের ট্যাবলো যখন মুখ্যমন্ত্রী কে অভিবাদন জানিয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন তুমুল বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তবে তাতে দমে না গিয়ে বর্ষাতি পরেই কুচকাওয়াজে অংশ নিলেন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা।




ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে আসা শিল্পীরা যখন মঞ্চের সামনে তখন অবশ্য বৃষ্টিটা ধরেই এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীও সোজা মঞ্চ থেকে নেমে পড়লেন রেড রোডে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে এগিয়ে এলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও।

ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের সাথে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ্য সঙ্গত দিলেন আদতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বীরবাহা হাঁসদাও। মুখ্যসচিব ও তখন নিজের আসন ছেড়ে এগিয়ে এসেছেন। মূহুর্তে পাল্টে যায় পরিবেশ।
মার্চ পাস্টের একদম শেষে কলকাতা পুলিশের ‘ডেয়ার ডেভিল’ বাহিনী তাদের মোটরসাইকেল এর স্টান্ট দেখিয়ে সকলের মন জয় করে নেয়।



