Date : 2024-03-19

বিজেপির নবান্ন অভিযান। কিছুটা রেশ পড়লো নবান্নের কর্মিদের উপস্থিতিতে।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : ব্যবস্থা ছিলো সবরকম। ছিল নিশ্ছিদ্র ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। সবমিলিয়ে ছিলো কয়েক হাজার পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানে সাঁতরাগাছি বা কলকাতার কিছু এলাকা যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর, বিজেপির অভিযানের মূল লক্ষ নবান্ন কিন্তু ছিলো আপাত স্বাভাবিক। তবে নবান্নের আশেপাশের প্রায় সব রাস্তাই পুলিশের দখলে চলে যাওয়া ও চেকিং এর কড়াকড়ি থাকায় তার রেশ এসে পড়ে কর্মিদের উপস্থিতিতে।

বিজেপির নবান্ন অভিযানে যেকোনো রকম বিশৃঙ্খলা আটকাতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিলো প্রশাসন। একদিন আগেই ট্রাফিক অ্যাডভাইসরি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো নবান্ন সন্নিহিত হাওড়া ও কলকাতার দিকের কোন রাস্তা কখন থেকে কখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত থাকবে‌‌। অন্য রাস্তার ক্ষেত্রে বেলা দশটা বা এগারোটা থেকে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা থাকলেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে সকাল আটটা থেকেই নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছিলো। বেলা এগারোটার কিছু পরে থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে তো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। বন্ধ হয়ে যায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল। ফলে যার কিছুটা রেশ এসে পড়ে নবান্নের কর্মিদের উপস্থিতিতে।

বিভিন্ন তলায় ঘুরে দেখা গেল অনেক চেয়ার ফাঁকা। কারণ জানতে চাওয়ায় অর্থ দফতরের এক কর্মি জানালেন আসলে যারা দুর থেকে আসেন, বিশেষ করে কলকাতার দিক দিয়ে, তারা অনেকেই সকাল আটটার আগে পৌঁছাতে পারেন নি। তাই হয়তো পৌঁছাতে পারেন নি। তিনি অবশ্য দশটা নাগাদ নবান্নে পৌঁছেছেন বলেই জানালেন। একটি ঘরে দশজন বসেন, সেখানে এদিন বেলা দুটোর সময়েও মাত্র তিনজন এসেছেন। অন্য একটি ঘরে অবশ্য এগারো জনের মধ্যে সাতজন‌ই উপস্থিত। এই সাতজনের বাড়ি অবশ্য নবান্ন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়।

ফলে তারা পায়ে হেঁটেই অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন। একজন কর্মি জানালেন হেস্টিংস এর সামনে থেকে নবান্নে পৌঁছাতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। অন্ততঃ সাত জায়গায় তাকে পুলিশ আটকে পরিচয়পত্র দেখে তারপর ছেড়েছে। নবান্নের যে গেট দিয়ে কর্মিরা ঢোকেন সেই গেটের বাইরে ও সামনের রাস্তাতেও পুলিশি চেকিং এর মুখে পড়তে হয়েছে। প্রত্যেককেই পরিচয়পত্র দেখে তারপর নবান্নে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।

যদিও সরকারিভাবে উপস্থিতির হার নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয় নি, তবে উপস্থিত কর্মিদের অনেকেরই মত বিজেপির নবান্ন অভিযানের কিছুটা রেশ তো অবশ্যই পড়েছে। এর অন্য আরেকটা কারণ‌ও জানা গেল এক কর্মির মুখে। তিনি বললেন, অন্য সময় কোনো রাজনৈতিক দল বনধ্ ডাকলে বনধের দিন উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করে নির্দেশিকা জারি করা হয়, এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয় নি। ফলে অনেকেই আর রিস্ক নেয় নি।