সঞ্জু সুর, সাংবাদিক: দূর্গা পুজোর উদ্বোধনে তিনি সব সময়েই সবার আগে। পুজো উদ্বোধনের আবেদনের নিরিখে তিনি অন্য সব সেলেব্রিটির সেলিব্রিটি। আজ থেকে নয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি পুজো কমিটির আবেদন আসতো। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেটা স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। তিনি চেষ্টা করেন বেশিরভাগ পুজো কমিটির আবেদনে সাড়া দিতে। এবারও শহর কলকাতার বাছাই করা বেশকিছু পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি জেলার পুজোর উদ্বোধনেও দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে।
শহর কলকাতার প্রায় অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধনের জন্য দরবার আসে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তার বেশিরভাগই তিনি নিজে উদ্বোধন করেন। ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলীর তিনটি পূজা মন্ডপের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু শহর কলকাতাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে পুজো উদ্বোধনের আবেদন আসতে থাকে সারা রাজ্য থেকেই। নবান্ন সূত্রে খবর সেই আবেদনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায় প্রতি বছর। এবছরও তার অন্যথা নেই। কিন্তু সময়ের অভাবে এবছর জেলায় গিয়ে পুজো উদ্বোধন করা সমস্যার। তাই গত বছরের মতো এই বছরও কলকাতা থেকেই ভার্চুয়ালি জেলার পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মহালয়ার দিন কলকাতার কয়েকটি পুজো উদ্বোধন করার কথা আছে তাঁর। ওইদিনই তিনি ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার পুজো উদ্বোধন করবেন। বিভিন্ন জেলার প্রায় দু’শোর বেশি পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরমধ্যে দার্জিলিং জেলার ১৪ টি পুজো, জলপাইগুড়ি জেলার ১৭ টি পুজো, আলিপুরদুয়ার জেলার ১০ টি পুজো, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১০ টি, মালদহ জেলার ১১ টি, বাঁকুড়া জেলার ১০ টি, ঝাড়গ্রাম জেলার ৬ টি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১০ টি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৪ টি, হুগলী গ্রামীণ জেলার ১০ টি, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার ৭ টি, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ৩ টি, বরাহনগর লোল্যান্ড এর পুজো সহ উত্তর ২৪ পরগনা ও অন্যান্য জেলার পুজোর উদ্বোধন ও করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ চেতলা থেকে এই ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনে সামিল হবেন তিনি।