Date : 2024-03-28

“দিদির নির্দেশে শান্ত আছি। ন‌ইলে হাত গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।” নেতাজি ইনডোরে বললেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : তিনি আইনজীবী। তিনি সাংসদ। তিনি বরাবরই আউট স্পোকেন। তিনি একেবারে খুল্লাম খুল্লা কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সেই খুল্লাম খুল্লা কথাই বললেন তৃণমূল সাংসদ, আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর উপস্থিতিতেই তিনি জানিয়ে দিলেন প্রয়োজনে তিনি বিরোধীদের হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন।

নেতাজি ইনডোরে দলীয় সমাবেশে তখন সবে ভাষণ শেষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বলবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে মঞ্চ পরিচালনায় থাকা তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ঘোষনা করেন এবার বক্তব্য রাখবেন লোকসভার তৃণমূল হুইপ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।

তখন‌ই বোঝা গিয়েছিলো দলের উপরতলার নির্দেশেই কল্যানকে বলতে বলা হয়েছে। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই ভাষণ দিলেন। কিন্তু ভাষণের শুরুতে তিনি দলনেত্রী সহ অন্যান্যদের সম্মোধন করার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুত্র সম বলে উল্লেখ করলেন। যা কিছুটা অতীতের কল্যান ও অভিষেক অধ্যায় মনে করিয়ে দিলেও বর্তমান দলীয় ইক্যুয়েশন এ যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করা হচ্ছে।

অবশ্য কিছুদিন আগে দিল্লিতে সুখেন্দু শেখর রায় বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হ‌ওয়া বৈঠকের পর কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন অভিষেক এখন অনেক পরিনত। সে যাই হোক, এদিন একদম চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চেয়ে নিলেন দলনেত্রীর কাছ থেকে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “দিদি বলেছে ভালো করে থাকতে, তাই ভালো করে আছি। দিদি বলেছে শান্ত থাকতে তাই শান্ত আছি। কিন্তু আমি কোনো ফাইন ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলতে পারবো না।

তাই বলছি, যদি দেখি আমাদের কোনো কর্মিকে বিরোধী কেউ হাত ভেঙে দেওয়ার কথা বলে তাহলে আমি তার হাত গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।” এরপরেই অবশ্য তিনি বলেন, অনেক সময় যদি মনে হয় কখনও কিছু ভুল বলেছি তাহলে দিদি মনে রেখো যা বলেছি মন থেকেই বলেছি। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ যে দলনেত্রীর বেশ পছন্দ হয়েছে সেটা বোঝা যায় তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ শুরু করলে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “কল্যানের বক্তৃতা শুনছিলাম। কল্যানের বক্তৃতা আমাকে কিছুটা আগের কথা মনে করিয়ে দিলো।” ভাষণের সার্টিফিকেট যেন দলনেত্রীর কাছ থেকেই পেয়ে গেলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।