Date : 2024-04-20

কালিপুজোর আগে রকমারি মাটির প্রদীপ কিনতে ভীড় বাজারে।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই কালীপুজো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। কালীপুজোতে অশুভ শক্তির বিনাশে আলোর রোশনাই সাজিয়ে তোলা হয় ঘর- বাড়ি। রীতি অনুযায়ী জ্বালানো হয় মাটির প্রদীপ। পুজোর কদিন আগে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে মাটির প্রদীপ।

কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। আর এই পুজোর সময় প্রতিটি বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর রীতি আছে। প্রদীপের আলো এক আলাদা মাত্রা যোগ করে শক্তির দেবীর আরাধনায়। পঞ্চপ্রদীপ জ্বালানো হয় দীপাবলীর রাতে। বেশ কয়েক বছর ধরে আধুনিক লাইট থেকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক প্রদীপে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। কিন্তু তারপরেও বাজারে এখনো মাটির প্রদীপের চাহিদা ব্যাপক হারে রয়েছে। কারণ রীতি মেনে এখনো কালীপুজো ও দীপাবলীতে মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। আর সেই রীতি এখনও বর্তমান। প্রদীপ কিনতে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেল কুমোরটুলিতে।

প্রদীপের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে তাতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। পঞ্চপ্রদীপ সহ একাধিক ধরনের প্রদীপের সমাহার লক্ষ্য করা গেল বাজারে। তাতে আবার রয়েছে রঙের বাহার। যা ক্রেতাদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে। দামের দিকেও চিনা লাইটের থেকে অনেকটাই কম দাম এই প্রদীপের। ৩ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা সব রকম দামের প্রদীপ রয়েছে।

গত দু বছর করোনার জন্য তেমন চাহিদা ছিল না।গত দুবছরের তুলনায় চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে মাটির প্রদীপ কেনার। তবে এবার চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারছেন না বলেই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

তবে যাই হোক মাটির প্রদীপের জায়গা খুব একটা দখল করতে পারেনি অত্যাধুনিক আলোর রোশনাই। কালীপুজোতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর রীতি এখনও নিজের জায়গা ধরে রেখেছে তা বলাই বাহুল্য।