Date : 2024-04-19

সিত্রাং নিয়ে সতর্ক নবান্ন। প্রস্তুতিতে কোনো খামতি রাখছে না প্রশাসন।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ হোক বা ‘ইয়াশ’, অথবা ‘ফনী’। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ কে। ‘ইয়াশ’ বা ‘আমফান’ পরবর্তী সময়ে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর ছবি এখনও অনেকটাই টাটকা সবার মনে। বিদ্যুৎ হীন রজনী কাটানো হোক বা পানীয় জলের অভাবে ভুগতে হয়েছে এমনকি সরকারি আধিকারিকদের ও। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে নবান্ন। শুধু দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর জন্য আলাদা করে দশ দশজন আইএএস আধিকারিককে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তাকে আটকানো সম্ভব নয়। কিন্তু তার প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া থেকে কিছুটা লাঘব পাওয়া যেতে পারে যদি আগাম প্রস্তুতি সঠিক থাকে। এটাকেই মূলমন্ত্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘুঁটি সাজাচ্ছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের পৌরহিত্যে বৈঠক করে একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা ও দফতর গুলিকে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন দফতরের কর্মিদের। আলাদা আলাদা করে নির্দেশিকা পাঠিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর, কৃষি দফতর, সেচ দফতর বা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। প্রস্তুত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও পঞ্চায়েত দফতর‌ও। পানীয় জল নিয়ে যাতে কোনো অভাব বা অভিযোগ না ওঠে বা সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয় তারজন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর জন্য ইতিমধ্যেই ২৮ টি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। এই ইউনিটের মাধ্যমে একেবারে স্থানীয় স্তরে পানীয় জলের পাউচ পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জলের ট্যাঙ্ক মজুদ রাখা হচ্ছে। সরকারি স্তরে নবান্নে কন্ট্রোলরুম খোলা থাকছে, কন্ট্রোলরুম খোলা থাকছে বিদ্যুৎ দফতরেও। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকেও জেলায় জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে। এছাড়া পঞ্চায়েতৎ দফতরের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদে পর্যাপ্ত কর্মি মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে।