Date : 2024-04-20

ED অনুব্রত মন্ডলের চিন্তা বাড়িয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সায়গল হোসেনকে।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ED মরিয়া প্রচেষ্টা অবশেষে সফল হতে চলেছে।ইডি শুরু থেকেই
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লির ইডির সদর দফতরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন।
সোমবার তাতে সিলমোহর দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। সায়গলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই । এখন তিনি আসানসোল জেলে রয়েছেন। কিন্তু এরমধ্যেই ইডি তাঁকে হেফাজতে নেয়। তারপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আর্জি জানান, সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়।
পূজা অবকাশকালীন বেঞ্চে নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এসেছিল ইডি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টও সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার ব্যাপারে অনুমতি দেয়নি। বরং হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, কেন সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই? এখানেই জেরা করা হোক।
তারপর ইডি পৃথক একটি মামলা করে দিল্লিতে। এদিন রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। সায়গলের তরফে ক্যাভিয়েট করে রাখায় তাঁর আইনজীবীরাও সওয়াল করেন। কিন্তু সব শুনে দিল্লির আদালত সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে।

গরুপাচার মামলায় আগেই সায়গল হোসেন কে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। এই সংক্রান্ত মামলা চলছিল দিল্লি রাউসএভিনিউ আদালতে। পাশাপাশি, আরও একটি মামলা চলছিল কলকাতা হাই কোর্টে। গত ১১ অক্টোবর হাই কোর্টে সহগলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া অনুমতি চাইলে ইডিকে আদালত বলেছিল, দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে সহগলকে জেরা করার প্রয়োজন কী? ইডির আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দেন, মামলা দিল্লিতে বলেই তাঁরা নিয়ে যেতে চান সেখানে। এর পরই বিচারপতি জানিয়ে দেন, দিল্লি হাই কোর্ট যদি হাজিরা দিতে বলে, যদি ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেন, তবে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। সেই অনুমতিই মিলল সোমবার।
অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গলকে গত ৭ অক্টোবর আসানসোল জেলে নিয়ে ইডির আধিকারিকরা দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেন। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও আসানসোল আদালত এই গ্রেফতারিকে মান্যতা দেয়নি। এর পরই ইডি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়।