Date : 2024-04-20

হোয়াটসঅ্যাপ ক্রাশ। প্রভাব পড়েনি প্রশাসনিক কাজে।

সঞ্জু সুর,সাংবাদিক:- প্রশাসন চলে তার নিজের গতিতে, নিজের সূত্র মেনে, নিজের মেকানিজমে। সেই কারণেই মঙ্গলবার সোশ্যাল মেসেজিং সাইট (হোয়াটসঅ্যাপ) হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলেও প্রশাসনিক কাজে তার কোনো এফেক্ট পড়েনি। অন্তত রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মত তেমনই।

মঙ্গলবার দুনিয়াজুড়ে হঠাৎ করেই ক্রাশ করে যায় বহুল ব্যবহৃত সোশ্যাল মেসেজিং সাইট ‘হোয়াটসঅ্যাপ’। বেলা সাড়ে বারোটা থেকে দুপুর প্রায় ২.১৫ মিনিট পর্যন্ত কোনোরকম ম্যাসেজ আদানপ্রদান করা যাচ্ছিল না এই সাইটে। ফেসবুক, টুইটার থেকে শুরু করে অন্যান্য সাইটে একের পর এক পোষ্ট হতে থাকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ’, ‘হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছে না’, ইত্যাদি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা (হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী) হা হুতাশ করতে থাকেন। ‘হোয়াটসঅ্যাপ পে’-তে টাকা পাঠালে সেটা যাচ্ছে কি না বোঝা যাচ্ছে না। ম্যাসেজ পাঠালে যাচ্ছে না। কোনো ম্যাসেজ আসছে না। দুনিয়াজুড়ে কোটি কোটি গ্রাহক দোষারোপ করে চলেছে সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থা ‘মেটা’-কে। ‘মেটা’-র পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা ক্ষমাপ্রার্থী। খুব শীঘ্রই পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে। তবে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়লেও রাজ্য প্রশাসনের কাজে অবশ্য এর কোনো প্রভাব পড়ে নি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলাশাসক থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার হোক বা বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ কর্তাদের অবশ্য কোনো ঝামেলায় ফেলতে পারেনি হোয়াটসঅ্যাপ এর এই ক্রাশ করে যাওয়া। এক তো ছুটির দিন, তার উপর প্রশাসনের উপর মহলের বক্তব্য তাঁদের কাজ হোয়াটসঅ্যাপ নির্ভর নয়। তাঁদের কাজের নিজস্ব মেকানিজম আছে। ফলে ছুটি থাকলেও যেটুকু কাজ করতেই হয় তাতে অন্তত কোনো সমস্যায় পড়তে হয় নি তাঁদের। নবান্নের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “তাঁর কাজে অন্তত কোনো প্রভাব পড়ে নি।” এক আধিকারিক জানালেন “ঘুমাচ্ছিলাম, তাই এসব কিছুই জানি না।” আরেকজনের বক্তব্য, “আজ তো ছুটি। ফলে ওদিকে তেমন নজর‌ই দি‌ই নি।” উত্তরবঙ্গে প্রশাসনের কাজে নিযুক্ত এক আধিকারিকের স্পষ্ট মত, “আমাদের তো হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি দিয়ে কাজ হয় না। আমাদের কাজ অনেক বেশি কাগজ নির্ভর বা মেইল নির্ভর। খুব প্রয়োজন হলে ফোন। “আরেক জেলাশাসক জানালেন “আমি তো জানতামই না। এই আপনি বললেন তাই জানলাম।” পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক আইপিএস জানালেন, “এইসব হোয়াটসঅ্যাপ ফেইল করলো না ক্রাশ করলো তাতে আমাদের আর কি। আমাদের তো নিত্যদিনের কাজ করে যেতে হবে।” তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ব্যস্ত থাকা দুই আধিকারিকের অবশ্য বক্তব্য কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তাঁদের মতে ঝড়ের দাপট আমাদের রাজ্যে তেমন প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু অনেক সময় সাধারণ মানুষের হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও আমাদের কাছে খবর আসে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হয়।