Date : 2024-04-26

পরিষেবা বাড়লেও কয়েকটি জেলায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিতি আশানুরূপ নয়।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বেড়েছে পরিষেবা প্রদানের সংখ্যা। মূর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলায় পরিষেবা প্রত্যাশীর সংখ্যা বাড়লেও কয়েকটি জেলা পিছিয়ে রয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে প্রথম এগারো দিনে সারা রাজ্যে মোট উপস্থিতি ৩৩ লক্ষ। কয়েকটি জেলায় উপস্থিতির হার লক্ষাধিক হলেও কয়েকটি জেলায় এখনও তেমন সাড়া পাওয়া যায় নি। কেন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বা কেন ক্যাম্পে লোক বেশি আসছে না, তা নিয়ে চিন্তিত নবান্ন জেলাগুলোর থেকে জানতে চাইতে পারে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

নভেম্বর মাসের এক তারিখ থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ ক্যাম্প। আগের চার বারের মতো পঞ্চম দফাতেও দুয়ারে সরকার ক্যাম্প নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ যথেষ্ট বেশি। পঞ্চম দফায় মোট ৫৩,৭৪৬ টি ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প করা হবে যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৪,৩১৬ টি ক্যাম্প করা হয়েছে। ১১ তারিখ পর্যন্ত সারা রাজ্য জুড়ে এই ২৪,৩১৬ টি ক্যাম্পে মোট ৩৩,২৮,৫৭১ জন মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এগারো নভেম্বর পর্যন্ত কোন জেলায় কতজন মানুষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিত হয়েছেন।
মূর্শিদাবাদ জেলা ৬,২৫,৪৩৪ জন (১২ তারিখ বেলা ১২ টা পর্যন্ত সাড়ে ছয় লক্ষ)
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩,৮৬,৫০০ জন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩,০১,৪৮০ জন।
নদীয়া জেলায় ২,২৫,৫৩৪ জন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উপস্থিতি ২,১৬,২৯৫ জন।
মালদহ জেলায় ১,৬৯,৮৮৪ জন যা ১২ তারিখ বেলা বারোটায় বেড়ে হয়েছে ১,৭২,৬৪৬।
বারো তারিখ বেলা বারোটা পর্যন্ত হুগলী জেলার উপস্থিতি ১,৫৯,৪৩২ জন।

পূর্ব বর্ধমানে ১,৫৩,২৬৪
কোচবিহার ১,৩৮,৯৫৯
পশ্চিম মেদিনীপুর ১,২৭,৫৬৯
পশ্চিম বর্ধমান ১,০১,৮১৪ জন।
বাঁকুড়া জেলায় উপস্থিতি ৮৭,৭৩৪; আলিপুরদুয়ারে ৮১,৪৩৭; পুরুলিয়া ৮১,১৮৮; উত্তর দিনাজপুর ৭৮,৮২৩; হাওড়া ৭৫,২০৩; বীরভূম জেলায় ৭২,৯৯১; কলকাতায় ৫৪,৯৯৬; দার্জিলিং ৫৪,৬৩৫; দক্ষিণ দিনাজপুর ৪২,৯৮৭; ঝাড়গ্রাম ৩৭,২৭৮; জলপাইগুড়ি ৩৬,৬১৫ ও কালিম্পং জেলায় এগারো তারিখ পর্যন্ত উপস্থিত হয়েছেন ১৮,৮০১ জন। এবার পঞ্চম দফার এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পরিষেবার সংখ্যা বেশ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলে ছাড় সহ মোট পঁচিশ টি পরিষেবার সুযোগ এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পাওয়া যাচ্ছে। তা সত্বেও কয়েকটি জেলায় ফুটপ্রিন্ট আশানুরূপ নয়, অন্তত প্রথম এগারো দিনের হিসাব তাই বলছে। যদিও এখনো অনেকটাই সময় বাকি আছে তবে হাওড়া, বীরভূম, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম বা কালিম্পং জেলার ফুটপ্রিন্ট আশানুরূপ নয় বলেই মত নবান্নের। ফলে এইসব জেলাগুলোতে অধিক নজর দেওয়া হতে পারে বলেই খবর।