Date : 2024-04-27

কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়ে শীতে, খাবারের থালায় থাকুক এগুলি

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হাই কোলেস্টরল। শীতকালে কোলেস্টরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। শীতে ভাজাভুজি যেমন বেশি খাওয়া হয় তেমনই কায়িক পরিশ্রমও অনেকের কম হয়। শীতে শক্তির জন্য চর্বিযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। যে কারণে কোলেস্টেরল শিরায় জমা হয় এবং হার্ট অ্যাটাক হয়। কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারকে ডায়েটের অংশ করে আমরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

১) বাদাম- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই-এর মতো পুষ্টি উপাদান বাদামে থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপনি যদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবারে বাদাম রাখুন। ২) গোটা শস্য- গোটা শস্য স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যেহেতু গোটা শস্যে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমাতে ওটস খুবই কার্যকরী। আপনি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্প্রাউট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

৩)ফল- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খাবারের তালিকায় কয়েকটি স্বাস্থ্যকর ফল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আপেল, নাশপাতি ও লেবুর মতো ফল হৃদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আপেলে পেকটিন এবং পলিফেনল থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নাশপাতি ভিটামিনের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৪) মটরশুটি- মটরশুটি দ্রবণীয় ফাইবারে সমৃদ্ধ। দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই এটি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ৫) আখরোট- আখরোট ঔষধি গুণে ভরপুর। শীতকালে আখরোট খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে বাধা দেয়।