Date : 2024-04-19

১১ডিসেম্বরে প্রাথমিকের টেট। শিশুর বিকাশ ও মনোস্তত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে থাকতে হবে ধারনা।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : ১১ডিসেম্বর প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের টেট। তাই হাতে খুব বেশি সময় নেই টেটের আবেদনকারীদের। টেটের জন্য কেৃন প্রস্তুতি নিতে হবে তার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মোট পাঁচটি বিষয়ে হবে প্রাথমিকের টেট। শিশুর বিকাশ ও মনোস্তত্ত্ব, প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি, অঙ্ক ও পরিবেশ বিদ্যা। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এবার প্রথমবার বিষয় ভিত্তিক ইনফরমেশন বুকলেট প্রকাশ করা হয়েছে।

পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে শিশুর বিকাশ ও মনোস্তত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ের উপর। প্রাথমিকের ছাত্র ছাত্রীরা শিশু বা নাবালক। তাই তাদের সম্পর্কে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঠিক ধারনা থাকা খুব জরুরি। তাদের সঙ্গে কেমন ধরনের ব্যবহার করতে হবে তা জানা প্রয়োজন একজন হবু শিক্ষক বা শিক্ষিকার। তাই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় শিশুর বিকাশ ও মনোস্তত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মত পর্ষদের।

শিশুর বিকাশ ও মনোস্তত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ের মধ্যে যে গুলি থাকছে তা পর্ষদ গাইডলাইনের মাধ্যমে তার নমুনা তুলে ধরেছেন। সেগুলি হল,১) একজন বহু শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে একটি শিশুর বেড়ে ওঠা সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতে হবে। বৃদ্ধি ও ক্রমবিকাশের মধ্য তফাৎ কি জানতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে একজন শিশুর বিকাশ কতটা জড়িয়ে থাকে তার সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে একজন হবু শিক্ষককে।২) জানতে হবে শিশুর সামাজিক জগৎ ও একজন শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত। ৩) বংশ ও পরিবেশ শিশুর বিকাশে কতটা প্রভাব ফেলে। ৪) শারীরিক, সামাজিক, মনস্ত্বত্ত্ব, ভাষা এসমস্ত বিষয়ে মনস্ত্বত্ত্ববিদ পাইগেটে,কোহলবার্গ ভাইগটস্কির কি আলোকপাক করতে বলেছেন তা জানতে হবে। ৫) একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠন নিয়ে ফ্রয়েড ও এরিকসনের স্ত্বত্ত্ব সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে হবু শিক্ষক শিক্ষিকাদের। ৬) একজন শিশুর বুদ্ধি ও বিকাশ নিয়ে গার্ডনার,স্টার্ন বার্গ, গিলফোর্ডের থিয়োরি জানতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। একটি শ্রেণি কক্ষের প্রত্যেক পড়ুয়ার শেখার ক্ষেত্রে তফাৎ থাকতে পারে, তাই সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের কিভাবে শিক্ষাদান করতে হবে সে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে হবু শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

এছাড়াও বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন বলে গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, পিছিয়ে শ্রেণি থেকে আসা কিংবা প্রত্যন্ত এলাকা থেকো আসা পড়ুয়াদের কিভাবে শিক্ষাদান করতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা থাকা আবশ্যিক। পাশাপাশি শারীরিক বা মানসিক ভাবে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের পাঠ নিয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

পাশাপাশি পড়ুয়াদের কি ভাবে শিক্ষাদান করতে হবে। একজন শিক্ষককে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যিক। ছাত্র ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে প্রগতিশীল শিক্ষার প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারনা থাকা আবশ্যিক হবু শিক্ষক শিক্ষিকাদের। প্রজেক্ট, লেকচার কি ভাবে পাঠদান করবে ধারণা থাকতে হবে সে সম্পর্কে।