Date : 2024-04-19

শৈশবের হাসি ফেরাতে উদ্যোগ মুসকানের

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : নিষিদ্ধপল্লীর কচিকাঁচারাও সমাজের অংশ। তাদেরও শৈশব আছে, অধিকার আছে, স্বাভাবিক জীবনযাপনের। মূল স্রোতে তাদের ধরে রাখতে পাশে দাঁড়িয়েছে সাউথ কলকাতা হামারী মুসকান।

পরিস্থিতি তাদের লালবাতি এলাকার বাসিন্দা করেছে। হয়তো জীবনের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়ে তারা আজ এই পেশার সাথে যুক্ত, সে কথা কেউ ভেবেও দেখে না। যেহেতু এরা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তাই তাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ একটু আড় চোখে দেখে। এমনকি তাদের সন্তানদের কি ভাবে ওই পেশার জগৎ থেকে বের করে আনা হয় সে কথাও কেউ ভাবে না। মায়েরা সারা রাত ধরে যখন ব্যবসার তাগিদে ব্যস্ত তখন তাদের সন্তানদের গভীররাত পর্যন্ত বাইরে ঘুরে বেড়াতে হয়। একটা শৈশববিহীন জীবনের সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকতে হয়। যা ক্রমশ তাদের বড় হওয়ার সঙ্গী হয়ে উঠে। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর দিকে তাদের নিয়ে যেতে পারে বলে মত সমাজসেবীদের অনেকের।

রেডলাইট এলাকার শিশুদের স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরিয়ে আন্তে সংকল্প নিয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই শিশুদের একটা সুস্থ পরিবেশ দিতে তাদের যেমন পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনই খেলাধুলা, আত্মরক্ষার পাঠও দেওয়া হচ্ছে। যাতে ওই পেশার জগতের প্রভাব কোনও ভাবেই তাদের স্বাভাবিক গতিধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।
বাইটঃ পারমিতা দত্ত রায়চৌধুরী, সিইও, সাউথ কলকাতা হামারী মুসকান

বৌবাজারের লালবাতি এলাকা কলকাতার অন্যতম পুরোনে এলাকা। এখানকার প্রায় চার হাজার মহিলা আছেন যারা দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাদের কচিকাঁচাদের জীবনের মূল স্রোতে ধরে রাখতে এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করে চলেছে মুসকান। তাদের কাজের গতিবিধি নিয়ে সল্টলেকের এক পাঁচতারা হোটেলে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আগামীদিনে কাজে আরও কিভাবে গতি আনা যায় তা নিয়েও হয় আলোচনা। পাশাপাশি কর্মসূচি নিয়ে প্রকাশ করা হয় একটি পুস্তক উড়ান।