নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : বড়দিনের মরসুমে পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট পলস, ক্যাথিড্রাল চার্চের মত শহরবাসীর কাছে অন্যতম ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে বো-ব্যারাক। খ্রিষ্টমাসের প্রাক্কালে সেজে উঠছে এই মহল্লা।
কলকাতার বুকে এ যেন এক অন্য কলকাতা। বউবাজার থানার পিছনের গলি দিয়ে একটুখানি এগোলেই চোখে পড়বে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা লাল-সবুজ রঙের বাড়িগুলি। যার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ইতিহাস। শোনা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সৈনিকদের জন্য তৈরি করা হয় এই ব্যারাক। যুদ্ধ শেষের পর ফিরে গেছেন বহু গোরা সৈনিক। কিন্তু রয়ে গেছে তাদের স্মৃতির শিকড়। তাই আজও বো ব্যারাক কলকাতার কাছে নস্টালজিয়া।
বড়দিনে ব্যারাক জুড়ে উৎসবের মেজাজ। উৎসবের প্রাক্কালে সেজে উঠছে বো ব্যারাক। তাই ব্যস্ততা তুঙ্গে এখানকার বাসিন্দাদের। ক্রিসমাস ট্রি, সান্তাক্লজ আর আলোর রোশনাই সেজে উঠছে এই মহল্লা। পার্ক স্ট্রীটের মত শহরবাসীর কাছে এক অন্যতম গন্তব্যস্থান হয়ে ওঠে এই বো-ব্যারাক। অসংখ্য মানুষের সমাগত ঘটে বড়দিনে এই পাড়ায়। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এখানে উৎসবে মেতে ওঠেন। বড়দিনে সর্বধর্মের মিলন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই বো-ব্যারাক।
সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩২টি পরিবারের বাস এখানে। বড়দিনের আগে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কারোর কাছেই সময় নেই কথা বলার। কিংবা হয়তো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ফুরসৎ তাদের কাছে নেই। তবে যায় হোক। এখানকার যে সকল বাসিন্দারা সারা বছর কাজের তাগিতে বাইরে থাকেন তারা এই সময় শিকড়ের টানে এখানে আসেন। পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় দিন কাটান। আর সেই আনন্দে ঝলমলিয়ে ওঠে ঝিমিয়ে পড়া বো-ব্যারাক।
বড়দিন আসার আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি, চলে নানা কর্মকাণ্ড। অনেকে যেমন নিজের হাতে তৈরি করেন রেড ওয়াইন, কেক মোমোর মত খাবার। খাওয়া দাওয়া আনন্দ সব মিলিয়ে বড়দিনে যেন অন্য আমেজ বিরাজ করে এই বো ব্যারাকে।