বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির চওড়া ব্যাট এবং সুদীপ ঘরামির ধৈর্যশিল ইনিংসে ভর করে রণজি ট্রফির ম্যাচে শক্তিশালি বরোদার বিপক্ষে জয় তুলে নিল বাংলা দল। অবশ্য মঞ্চ সাজিয়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশানে উইকেট হারালেই কাজটা কঠিন হয়ে যেত বাংলা দলের কাছে। কিন্তু অধিনায়ক মনোজ ঠান্ডা মাথায়, সুদীপ ঘরামিকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন। তৃতীয় দিনে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট পড়লেও চতুর্থ দিনে কোনও উইকেটই খোয়ালো না মনোজ, লক্ষ্মীর দল। বৃহস্পতিবার উইকেটে অপরাজিত থাকা সুদীপ ঘরামি করলেন 76 রান। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি করলেন অপরাজিত 60 রান। জয়ের জন্য 177 রানের লক্ষ্যমাত্র সহজেই পোঁছে যায় বাংলা দল। বঙ্গ বোলাররা অবশ্য তৃতীয় দিনেই বাংলার অনুকুলে ম্যাচের ভাগ্য এনে দিয়েছিলেন। মুকেশ কুমার, ইশান পোড়েলদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেননি বরোদার ক্রিকেটাররা। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বরোদার জোতসনিল সিং, শাশ্বত রাওয়াতরা। ম্যাচে 7 উইকেট নিলেন এই মূহূর্তে বাংলার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফাস্ট বোলার মুকেশ কুমার। চেনা পরিবেশে বাংলা দল এগিয়ে শুরু করলেও প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছিল বঙ্গ ক্রিকেট মহল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই সব সুদে আসলে তুলে নিল বাংলার খেলোয়াড়রা। অনুষ্টুপ মজুমদার প্রথম ইনিংসে রান পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মনোজ, সুদীপ রান পেলেন। প্রতি ম্যাচেই কোনও না কোনও ব্যাটার ব়ড় রান পাচ্ছে। যা আখেরে দলের ব্যাটিং শক্তির জন্য ইতিবাচক দিক, এমনই মনে করছেন প্রাক্তন বঙ্গ ক্রিকেটাররা। এরপর 17 জানুয়ারি থেকে আওয়ে ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ হরিয়ানা। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি শনিবার থেকেই শুরু করে দিচ্ছেন মনোজরা। কোয়ার্টার ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত দুরন্থ ছন্দে থাকা বঙ্গ শিবিরের।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.