Date : 2024-05-08

রোগ নিরাময়ে খেজুর

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক – মিষ্টি স্বাদের শুকনো ফল খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। রক্তস্বল্পতার সমস্যায় অত্যন্ত উপাদেয় খাবার খেজুর। কেবল মিষ্টিই নয়, খেজুরে রয়েছে বহু স্বাস্থ্য গুণও। বিভিন্ন অসুখে দারুণ কার্যকরী এই ফল। তাই খেজুর প্রতিটি মানুষের খাওয়া উচিত। খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। এছাড়াও কার্বন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন বি সিক্স- এর মতো উপাদান এই ফলে প্রচুর পরিমাণে থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে অনেকটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত খেলে বহু রোগকে অনায়াসে দূরে রাখতে পারে খেজুর।

১) মস্তিষ্কের জন্য উপকারী: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে খেজুর। খেজুর ব্রেনে প্রদাহ কমায়। স্মৃতিভ্রম বা অ্যালঝাইমার্স নামক রোগের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয় খেজুর। তাই আজীবন স্মৃতি টাটকা রাখতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।

২) ফ্রুকটোজ: খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ। এই উপাদান ফলকে প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি করে তোলে। চিনি খাওয়ার চেয়ে ফলের মিষ্টি খাওয়া কয়েকগুণ উপকারী। খেজুর শরীরের সমস্যা কমায়। তাই শরীর নিয়ে চিন্তা না করে আজই বাজার থেকে খেজুর কিনে এনে খাওয়া শুরু করে দিন।

৩) হাড়ের সুরক্ষা: এই ফলে ফসফরাস থেকে শুরু করে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। তাই খেজুর হাড়ের রোগকে অনায়াসে কমিয়ে দিতে পারে। অস্টিওআর্থ্রাইটিস থেকে অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখে দারুণ কার্যকরী এই ফল।

৪) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে- বর্তমানে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ। এই অসুখকে পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও রোগী চাইলেই এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এর জন্য খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবে পরিবর্তন। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, খেজুরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার পাশাপাশি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে মধুমেহ রোগীরা খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।