Date : 2024-03-29

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত! বঙ্গভবন কাণ্ডে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের!

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : দিল্লির বঙ্গভবন থেকে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখেল কে গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিস। দিল্লি পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে তল্লাশিও চালায় তাঁরা। সেই সময়েই সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক গুজরাট পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। যদিও কোনো সিজার লিস্ট দেওয়া হয় নি বলেই অভিযোগ রাজ্যের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের।

সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীতে এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির বঙ্গভবন থেকে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখেল কে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। সেখান থেকে তাঁরা (গুজরাট পুলিশ) সিসিটিভি ফুটেজ ও সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক নিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওটা (বঙ্গভবন, দিল্লি) আমাদের সরকারের জায়গা। রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই কিভাবে গুজরাট পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালালো? ওরা দিল্লি পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলো।” মুখ্যমন্ত্রী আর‌ও বলেন, “শুধু সাকেত কে গ্রেফতার করাই নয়, রাজ্যেকে কিছু না জানিয়েই বঙ্গভবনের সিসিটিভির ফুটেজ ও হার্ড ডিস্ক নিয়ে চলে গেছে। এমনকি কোনো সিজার লিস্ট ও দেওয়া হয় নি।” ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্যসচিবকে বলেন। তারপরেই এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের আপত্তির কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন। দিল্লির বঙ্গভবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথি নিবাস। দিল্লিতে দুটো বঙ্গভবন রয়েছে। একটি হ্যালি রোডে, অন্যটি পন্ডিত উমাশংকর দীক্ষিত মার্গে। বঙ্গভবনে যারা কাজ করেন তারা রাজ্য সরকারের কর্মি। কলকাতা থেকে মন্ত্রী, আমলারা দিল্লিতে গেলে এই দুটো ভবনেই মূলতঃ থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের জন্যেও আলাদা একটি স্যূইট রয়েছে উমাশংকর দীক্ষিত মার্গের ভবনে। এছাড়াও অনেক সময় অনেক বিশিষ্ট জন বঙ্গভবন ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যকে আগে থেকে কোনো কিছু না জানিয়ে সেখানে তল্লাশি করতে যাওয়া এবং সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যাওয়া অনুপ্রবেশের সামিল বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্র গুজরাট পুলিশের কাছ থেকে জবাবদিহি তলব করুক। সূত্রের খবর, সেই দাবি জানিয়েই নবান্ন থেকে এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।