Date : 2024-04-19

গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করুক কেন্দ্র। সাগরে দাঁড়িয়ে আরও একবার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : কথায় আছে ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।’ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটের প্রভূত উন্নতি হয়েছে সাগরে। ফলে এখন যাতায়াত অনেক সুগম হয়েছে। তবু গঙ্গাসাগর মেলার আকর্ষণ আজ‌ও পুণ্যার্থীদের মধ্যে রয়েছে। সেই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার দাবি বুধবার আরও একবার জানিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গঙ্গাসাগর মেলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা আবেগের জায়গা। প্রতিবার এই মেলা শুরুর আগে নিজে এখানে এসে প্রস্তুতির কাজ দেখে যান তিনি। পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তাঁর নির্দেশে রাজ্য মন্ত্রীসভার একাধিক মন্ত্রী মেলার ক’দিন ব্যাস্ত থাকেন এখানে। প্রতিবছর লাখ লাখ পূণ্যার্থীর সমাগম হয় যে মেলায়, সারাদেশের হেন কোনো প্রদেশ নেই যেখান থেকে তীর্থযাত্রীরা আসেন যে মেলায়, সেই মেলা কেন জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না, তা নিয়ে এর আগেও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আরও একবার সেই আক্ষেপ শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। প্রথমে স্থায়ী হেলিপ্যাড উদ্বোধন করার পর ও পরে কপিল মুনির মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি জানালেন, “আমি কেন্দ্রের কাছে অনেকবার বলেছি। কিন্তু ওরা করছে না।” তারপরেই বেশ দৃঢ়কন্ঠে তিনি বলেন, “একদিন না একদিন তো এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করতেই হবে।” কুম্ভ মেলার সঙ্গে তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কুম্ভ মেলা হয়তো অনেক বড় মেলা। সেখানে যাওয়া অনেক সহজ। সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্র সরকার। সেটা তারা করতেই পারে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হবে না ?” কিছুটা খেদ এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অনেকবার বলেছি। চিঠি দিয়েছি। এই মেলার পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য আমরা সবকিছু করি। কিন্তু এই মেলার জন্য কেন্দ্র একটা বাতাসাও দেয় না।” পুর্বতন বাম আমলের তীর্থ কর তিনি তুলে দিয়েছেন। এই মেলা থেকে রাজ্য সরকারের কোনো আয় নেই। তা সত্বেও মেলার আয়োজনে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না রাজ্য সরকার। এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হলে কি লাভ হবে ? প্রশাসনের এক কর্তার কথায় কেন্দ্র এই স্বীকৃতি দিলে তখন মেলা আয়োজন থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের ফান্ড আসবে, যাতে আখেরে এই এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।