Date : 2024-04-29

বাইকে চড়ে বর এল চুঁচুড়া থেকে চন্দননগরে

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : অন্য আর সব বিয়ের মতো হতেই পারতো সৌম্য – নবমিতার বিয়েটা। কিন্তু নিজের অ্যাডভেঞ্চারের নেশাটাকে বিয়ের দিনেও বজায় রাখলো সৌম্য। যাকে যোগ্য সঙ্গত করলো সৌম্যর দীর্ঘদিনের বান্ধবী নবমিতা। ফলে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইকে করে বর এলো চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙ্গায়।

চুঁচুড়ার উত্তর সিমলার তপন কুমার সরকারের সন্তান সৌম্যদ্বীপ পেশায় ডিজিটাল কার্টুনিস্ট। কিন্তু তার নেশা আছে আরো কিছু। এই যেমন রোলার স্কেটিং করা। বিয়ের দিনেও তাই ধূতি, পাঞ্জাবি পড়ে ঘরের মধ্যেই একবার স্কেটিং করে ঝালিয়ে নিল সৌম্য। তারপর মায়ের বরণ শেষে সোজা দু’চাকায় স‌ওয়ার সৌম্য।

হঠাৎ বাইকে করে বিয়ে করতে যাওয়ার হুজুগ নিয়ে সৌম্যর বক্তব্য, “এটা তার প্যাশন। তাই এই বিশেষ দিনটাকে স্বরনীয় করে রাখতে অন্য গাড়ি নয়, বরং বাইকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।” সৌম্য এটাও জানালেন, “বিয়ে করে ফেরার সময়েও ব‌উকে বাইকে করেই নিয়ে আসবো।” সৌম্যর এই সিদ্ধান্তে বেশ উৎফুল্ল তার বান্ধবী নবমিতা।

চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙ্গার বাসিন্দা নীলরতন ঘোষের মেয়ের আনন্দের কারণ এবার সে ও সৌম্যর সাথে বাইকে করে ঘুরতে যেতে পারবে। অনেকে অবাক হলেও সৌম্যর বন্ধু শান্তনু অবশ্য একদমই অবাক নন।

পালকি করে, ঘোড়ায় চড়ে বা চার চাকায় বিয়ে করতে যাওয়া একপ্রকার নর্ম্যাল বিষয়। চমক দেওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে অনেকে‌। কিন্তু নিজের প্যাশন কে একেবারে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির করাটাও একটা প্যাশন।
ভালো থাকুন সৌম্য-নবমিতা। আর প্লাস নিউজের শুভেচ্ছা রইল।