ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক : সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে ঝালদা পুরসভার দায়িত্বে রয়েছেন পূর্ণিমা কন্দু ।শীলা চ্যাটার্জি কে অবৈধ ভাবে সরিয়ে দেবার কারণে হাই কোর্টে মামলাদায়ের হয়েছিল।সেই মামলায় নির্দেশ ……-তবে পূর্ণিমা কান্দু চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করার নির্দেশের সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ একমত নয়।পুর্ণিমার জায়গায় শিলা চ্যাটার্জি চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে সিঙ্গেল বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। ১৬ জানুয়ারি তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেটাকে খারিজ করা যায়না। নির্দেশ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও অপূর্ব সিনহা রায় এর ডিভিশন বেঞ্চ এর ।
ঝালদা পুরসভার মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ রাখলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ১৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঝালদা পুরসভার অস্থায়ী চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করেন ভাইস চেয়ারম্যান পূর্ণিমা কান্দুকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়।
বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু (তৃণমূলের কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার): কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেবার জন্য কাগজ তৈরি হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় শিলা চ্যাটার্জি যে রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচন জিতেছিলেন সেই দল তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বহিস্কার করে । তাই তাকে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি ।এটা নিয়মের মধ্যে পরে ।এরপর ওই জায়গা ফাঁকা না রেখে আমাকে কে সাময়িক দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।আমি সেই দায়িত্ব পালন করছিলাম ।শিলা চট্টোপাধ্যায় ও ভাইস চেয়ারম্যান পূর্ণিমা কান্দু আদালতে মামলা করলেন ।
রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী অনির্বাণ রায় জানান চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে সমস্যা থাকলে ওই বোর্ড এর যে কোনো একজন ওই দায়িত্ব সাময়িক ভাবে চালাতেই পারেন।আদালতের এক্তিয়ার নেই কাউকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করার ।পৌরসভার নিয়ম মেনে কাজ হয়ছে ।বোর্ড এর থেকে সুদীপ কর্মকার কে নিয়োগ করেছিল এসডিপিও।সিঙ্গল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে পরাজিত দলের প্রতিনিধিকে চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষণা করেন।
ঝালদা পুরসভার অস্থায়ী চেয়ারম্যান পূর্ণিমা কান্দুর পক্ষের আইনজীবী প্রতীক ধরও আইনজীবী কৌস্তব বাগচী জানান কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত ।তার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টাও কাটেনি , তাকে বেআইনি ভাবেই ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। আইনে আছে যদি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকে বেশ কিছুদিনের জন্য তাহলে ফের নির্বাচন হতে পারে ।কিন্তু শিলা চট্টোপাধ্যায়কে অবৈধ ভাবে সরানো হলো ।চেয়ারম্যান না থাকলে সেখানে ভাইস চেয়ারম্যান থাকবে কেনো সেখানে রাজ্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করবে ??
রাজ্য সরকারের পক্ষে আদালতে জানায়: ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন না তাই ওখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় ।