ডার্বির আগে দুই প্রধানে চলছে পুরো দমে অনুশীলন। চোট সারিয়ে মাঠে নেমেছেন মোহনবাগানের প্রাণ ভোমরা হুগো বোমাস। ডার্বির আগে তিনি ফিট, এটাই বাগান সমর্থকদের খুশির খবর। এদিকে ইস্টবেঙ্গলও গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে। আইএসএলের প্লে অফের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় এটা তাদের কাছে মর্যাদারক্ষার ম্যাচ। কারণ প্রথমত, ডার্বি সব সময়ই সম্মানরক্ষার ম্যাচ। আর দ্বিতীয়ত এটাই আইএসএলের শেষ ম্যাচ হওয়ায় জয় দিয়ে শেষ করা গেলে তা দলের জন্য ভালো হবে। প্রথম মিনিট থেকেই ডার্বিতে ক্লেইটনের সঙ্গে জেক জার্ভিসকে জুড়ে দিতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। কারণ এতদিন ভারতে কোচিং করিয়ে স্টিফেন বুঝে গেছেন, বড় ম্যাচে কখনও রক্ষণাত্মক খেলা যায় না। আর বড় ম্যাচ স্রেফ কোয়ালিটি দিয়েই জেতা যায়না। চাপের মূহূর্তে ব্যক্তিগত করিশমা এবং মানসিক শক্তি, দুই-ই দরকার হয়। সেকথা মাথায় রেখেই ম্যাচের আগে ফুটবলারদের ভোকাল টনিকেই ভরসা দিচ্ছেন লালহলুদল কোচ। এদিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা ভালোয় ভালোয় লিগ পর্ব শেষ করে আইএসএলের প্লে অফে নামতে মুখিয়ে রয়েছে। শেষ কয়েক বছরে টানা ডার্বি জিতে আসছে সবুজ মেরুন। এই ট্র্যাক রেকর্ড মোহনবাগান ফুটবলারদের বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে। প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বোসের মতো দীর্ঘদিন বাংলায় খেলা ফুটবলারদের থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোস, ফেডেরিকো গালেগোরা ডার্বির কথা খুটিনাটি জেনে নিচ্ছেন। এতদিন স্রেফ শুনেছেন, এবার খেলবেন তারা 60 হাজার দর্শকের সামনে। ফলে এই চাপকেই কিভাবে মোটিভেশনে কনভার্ট করা যায় সেদিকে নজর দিচ্ছে সবুজ মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এই ম্যাচ জিততে পারলে প্লে অফে নিজেদের মাঠে খেলার সুযোগ থাকবে। সুভাশিষ বোসরা তাই মরিয়া হয়ে ডার্বি জিততে চাইছে। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ক্লেইটনের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে মুখিয়ে রয়েছেন বাগান ডিফেন্ডার স্লাভকো দামজানোভিচ। এখনও পর্যন্ত ডার্বিতে অপরাজেয় রয়েছেন সুভাশিস বোস। সেই আখ্যা ধরে রাখতে মরিয়া তিনিও। শহরের তাপমাত্র এখনও উষ্ণ হয়নি, তবে ডার্বির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দুই দলেরই ফুটবলার, সমর্থকদের মধ্যে তা বলাই যায়।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.