শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- আপনাকে যদি এক প্লেট আগুনে সেঁকা উপরের স্তর পুড়ে যাওয়া বার্বিকিউ খেতে দেওয়া হয় তাহলে কি আপনি দুবার ভাববেন। একদমই না। আপনি খেয়ে নেবেন। কারণ লোভ ও স্বাদ। এছাড়া কড়া টোস্ট, বেগুন পোড়া, টমেটো পোড়, মাছ পোড়া, কাবাব – তন্দুরি এই সব খাবারের জুড়ি মেলা ভার। পোড়া, স্যাঁকা, ঝলসানো খাবার খেতে সবার ভালো লাগে কিন্তু এই সব খাবার খেয়ে আপনি বিপদ ডেকে আনছেন। অতিরিক্ত পরিমাণে পোড়া খাবার খেলে থেকে যায় ক্যানসারের ঝুঁকি।যখন খাবার রান্না করা হয় উচ্চ তাপমাত্রায় একটা নির্দিষ্ট অণু গঠিত হয় যা এক্রিলামাইড নামে পরিচিত। এই রাসায়নিকটিকে আমরা সম্ভাব্য বিষ বলেই জানি এবং এর উপাদান হিসেবে এর মধ্যে থাকে কার্সিনোজেন।
এটা খাবারের সাথে গ্রহণ করা মানে ক্যান্সার তৈরি হওয়া। তাই যাঁরা বিশেষ কোনও সমস্যায় ভুগছেন কিংবা মা হতে চলেছেন তাঁদের চিকিৎসকরা সব সময় এই পোড়া খাবার থেকে দূরে থাকতে বলেন। আপনি যদি সত্যিই খাবার নিয়ে চিন্তিত হোন, তাহলে যুক্তিপূর্ণ রান্না করা খাবারের পদ্ধতি পরিবর্তন করুন। ভাজা পোড়া খাবারের তুলনায় মাইক্রোওয়েব, ওভেনে সিদ্ধ করা বা সাধারণ ভাবে যে রকম খাবার রান্না হয় সেটি খান। কম মাংস খান, প্রচুর ফল, সবজি এবং শস্যজাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত। এতে এক্রিলামাইড থাকে না। এটাই হচ্ছে সহজ সমাধান স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য। এক্রিলামাইড যে শুধুই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তাই নয়, সেখান থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী কোনও রোগও। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন বাইরের খাবার, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে।