Date : 2024-05-08

“কোনো ঝগড়াঝাঁটি নয়, কোনো ভাগাভাগি নয়। আমরা এক হয়ে থাকবো।” দাঙ্গা নিয়ে পাঁচলার সভা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : দাঙ্গা নিয়ে, বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে মাঝেমাঝেই বিজিপির নিশানার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। রাজ্য প্রশাসনের মতে রাজ্যে দাঙ্গাপ্রবণ যে এলাকাগুলো রয়েছে তারমধ্যে হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা অন্যতম। সেই পাঁচলার সরকারি সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা উল্লেখ না করেই যখন বলেন, “দাঙ্গাকারীদের আমরা মদত দেবো না। আমরা এক হয়ে থাকবো”, তখন এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে মুখ্যমন্ত্রী শুধু যে উলুবেড়িয়া বা পাঁচলা বা এইসব এলাকার জন্য‌ই একথা বলছেন তা নয়, বরং তিনি সার্বিকভাবে সারা রাজ্যের জন্য‌ই এমন কথা বললেন।

সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ হোক বা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু(!) নিয়ে অ্যাজিটেশন, হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া থেকে পাঁচলা; সাঁকরাইল এলাকায় দিনের পর দিন রাস্তা অবরোধ থেকে শুরু করে দোকানপাট, ট্রেন ভাংচুর; লুটপাটের ছবি দেখেছে রাজ্য। রাজ্যের অন্যান্য কয়েকটি জায়গা থেকেও বিক্ষোভের ছবি সামনে আসলেও এই অঞ্চলের বিক্ষোভ সহজে থামার লক্ষণ সেই সময় দেখা যায় নি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্নে প্রেস কনফারেন্স করে বিক্ষোভকারীদের প্রতি নরম ও গরম বার্তা দিতেও শোনা গিয়েছে। বিজেপির রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে প্রতিদিন অন্তত কয়েকদফা সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে তুলোধুনা করা হয়েছে। এদিন সেসবের‌ই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন তার সরকারের মত‌ও। বৃহস্পতিবার একেবারে উলুবেড়িয়ার নাকের ডগায় পাঁচলার সুভাষ ময়দানের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা কাজ করে না, তারা প্ল্যান করে মারপীঠ করে, দাঙ্গা করে।” মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “রাজনীতির জন্য এসব করছো ? কিসের রাজনীতি ? রাজনীতি তো আমরাও করেছি।” দাঙ্গাকারীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষ্কার বার্তা, “কোনো ঝগড়াঝাঁটি নয়, কোনো ভাগাভাগি নয়। দাঙ্গাকারীদের আমরা মদত দেবো না। আমরা এক হয়ে থাকবো।” যারা বিভিন্ন ছল ছুতোয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা করে বা দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করে, মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্য সেই সব গোষ্ঠির প্রতি জোরালো বার্তা বলেই মত প্রশাসনের অনেকের।