Date : 2024-04-27

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজিদারি ধারা, তা সত্বেও দিতে হবে শিক্ষকের অবসরকালীন ভাতা।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : চাকরি জীবনে খুন সহ একাধিক ফৌজদারি ধারায় অভিযুক্ত হওয়ায় অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক।

মামলার বয়ান অনুযায়ী ১৯৮৫ সালে পুরুলিয়ার শীতলপুর জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সুভাষ মাহাত নামে ওই শিক্ষক। এরপর ১৯৯১ সালে ওই স্কুলেই প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ততদিনে শীতলপুরের ওই স্কুলটি জুনিয়র স্কুল থেকে হাইস্কুলের মর্যাদা পেয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যেই ২০০৫ সালে সুভাষ মাহাতোর বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় পুরুলিয়া নিম্ন আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায়। সেই মত ২০০৫ সালের ২৮ মার্চ সুভাষ মাহাতকে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোটের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষক। মামলার শুনানির পর ২০০৫ সালের মে মাসে নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। ফলে জামিমে মুক্তি পান সুভাষ মাহাত।

এরপর ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন সুভাষ মাহাত। এবং নিয়ম অনুযায়ী অবসরকালীন সুযোগ সুবিধার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ থাকায় তিনি অবসরকালীন সুবিধা পাবেন না। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষক। বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে সুভাষবাবুর হয়ে আইনজীবী সৌগত মিত্র সওয়ালে বলেন, বেআইনিভাবে এক প্রধান শিক্ষককে অবসরকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৮ শতাংশ সুদ সহ অবসরকালীন যাবতীয় অর্থ সুভাষ মাহাতকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।