Date : 2024-04-24

বিধানসভায় বেনজির পরিস্থিতি। বিজেপি বিধায়কদের মুখে “রাজ্যপাল হায় হায়, শেম শেম” শ্লোগান।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ বুধবার রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরু হল। আর শুরুর দিনেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যখন ভাষণ পাঠ করছেন তখন বেনজির বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। এমনকি রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে ‘হায়, হায়’ শ্লোগান বা ‘রাজ্যপাল শেম শেম (shame shame)শ্লোগান দিতেও শোনা যায় বিজেপি বিধায়কদের আসন থেকে। তারপরেই সদন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা।

জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন বিধানসভায় তাঁর ভাষণ বেশ মনোযোগ সহকারে শুনতেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সদ্য আসা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস কে নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে বিজেপি। রাজভবনে হাতেখড়ির অনুষ্ঠান হোক বা সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ডি’লিট দেওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রাজ্যপালের বক্তব্যকে খুব একটা সহজ চোখে দেখছে না রাজ্য বিজেপি। তার উপর এদিন রাজ্যপালের ভাষণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার উল্লেখ বিজেপি বিধায়কদের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। রাজ্যপালের ভাষণে কপি হাতে পাওয়ার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা নিজেদের আসনের সামনে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। রাজ্যপাল অবশ্য নিজের ভাষণ বন্ধ না করে পড়া চালিয়ে যান। যদিও তিনি ঠিক কি বলছিলেন তা সাংবাদিকদের বসার জায়গা থেকে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা যায় হেডফোন কানে দিতে।

এই সময়েই বিজেপি বিধায়কদের আসন থেকে “রাজ্যপাল হায় হায়” শ্লোগান শোনা যায়। শোনা যায় “তৃণমূলের সবাই চোর” শ্লোগান। দশ থেকে বারো মিনিট অধিবেশন কক্ষের মধ্যে শ্লোগান দেওয়ার পর কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। সেই সময় আবার দেখা যায় নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যপালের দিকে আঙুল তুলে “রাজ্যপাল শেম শেম” শ্লোগান দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়কেরা। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “জগদীপ ধনখড়কে নিয়েও তো আমাদের অনেক আপত্তি ছিলো। কিন্তু আমরা তো কখনো তাঁকে হায় হায় বলি নি।” ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “যারা এই সব করে তারা আদৌ সংবিধানকে মানে কি না জানি না। যদি সংবিধানকে না মানে তাহলে ওদের এখানে থাকার অধিকার আছে কি ?”