Date : 2024-04-20

সেচ দফতরের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস! আদালতের হস্তক্ষেপ চাকরি ফিরে পেলেন অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : মামলকারি দেবাশীষ মণ্ডলের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন রাজ্যের সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারপদে ২০০৩ সালে চাকরি পান। ওই বছরই মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের “গঙ্গা একশান প্ল্যান”নিয়ে কাজ করার সময় দুর্নীতি হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেন। শুধু তাই নয় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে রাতারাতি রামপুরহাটে বদলি করা হয়। সেখানেও বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ফের তাকে ৩০শে মে ২০১৯সালে বদলি করা হয় বর্ধমান দুর্গাপুরে। সেচ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী দেবাশীষ মণ্ডলকে ২০২৫সাল পর্যন্ত কোথাও বদলি করা যাবে না।

বর্ধমান দুর্গাপুরেদুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ৫মাসের মাথায় তাকে আলিপুরদুয়ারে বদলি করে দেওয়া হয়। এই বদলিতেই তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন কারণ অসুস্থ্য বৃদ্ধা মা এবং স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তবুও বদলি আটকানো যায়নি। শুধু তাই নয় নিয়ম অনুযায়ী জুলাই, আগস্ট,সেপ্টেম্বর বর্ষার এই তিনমাস কোথাও বদলি করা যায় না। প্রতিবাদের মাশুল তাকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় তাঁর বেতন বন্ধ করে দেয় সেচ দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি।

রিলিজ অর্ডার চ্যালেঞ্জ করে জুলাই ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দেবাশীষ বাবু। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ সেচ দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারিকে নির্দেশ দেন কেন এই ভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাকে কাজে যোগদান করতে দেওয়া হলো না এবং বেতন বন্ধ করে দেওয়া হলো। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অমান্য করায় জয়েন্ট সেক্রেটারির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করেন দেবাশীষ বাবু। সেই মামলায় এদিন নির্দেশ দেন এক মাসের মধ্যে সেচ দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি ব্যবস্থা নেবেন শুধু নয় বাড়ির সামনে সেচ দফতরেই তাকে যোগদান করাতে হবে।