Date : 2024-04-26

ডিএ নেই তো ডিউটি ও নেই‌। নির্বাচন কমিশন কে চিঠি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা না পেলে নির্বাচনের কাজে অংশ নেবেন না বলে নির্বাচন কমিশন কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ন্যায্য ডিএ না পেলে তারা ভোটের ডিউটিও করবেন না। এই বিষয়ে মুখ্যসচিবকেও চিঠি দিচ্ছেন তারা।

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোট কর্মিদের একটা বড় অংশ হলো রাজ্য সরকারি কর্মচারী। সেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে গত ১৯ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের অংশ হিসাবে সোমবার একদিনের পেন ডাউন করেছেন তারা। সরকারকে ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে আন্দোলনরত কর্মিদের দাবি এরপর লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।

এর মাঝে মঙ্গলবার রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন আন্দোলনকারিরা। চিঠিতে তারা দাবি করেছেন অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) অনুযায়ী তাদের বেসিক বেতনের ৪২ শতাংশ ডিএ হিসাবে পাওয়া উচিত, কিন্তু তারা মাত্র ৩ শতাংশ পান। বকেয়া ডিএ না পেলে এবং রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে যে শূণ্যস্থান রয়েছে তা পূরণ না হলে তাদের যেন নির্বাচনের কাজের জন্য ধরা না হয়। এই প্রসঙ্গে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষে অন্যতম আহ্বায়ক ভাষ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকেও চিঠি দেবো। চিঠি দেবো মুখ্যসচিবকেও।

আর আমরা জানতে চাই আমাদের দাবি নিয়ে কি ভাবছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী।” ডিএ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত তো নেবে রাজ্য সরকার। তাহলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে ভাষ্কর ঘোষের দাবি, বিহারেও এমন হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত ওখানকার নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হ‌ওয়ার পর ওদের দাবি মেটে। এদিকে ১৯ দিন ধরে চলা আন্দোলনের শেষ ৫ দিন আমরন অনশন চলছে।

৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে লাগাতার কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন বলে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন আন্দোলকারীদের পক্ষে ভাষ্কর ঘোষ। প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩৫ টি সংগঠনের এই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ছাতার তলায় প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ কর্মচারি রয়েছেন। এই বিশাল সংখ্যক কর্মচারি অংশ না নিলে সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট করানো কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরের পক্ষে যথেষ্ট সমস্যার হতে পারে। এমনটাই মত কমিশনের এক কর্তার।