Date : 2024-04-26

১৪ ই ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট সহ সর্বদলীয় দলের প্রতিবাদ মিছিল। ডান বাম পা মেলাবেন এই মিছিলে।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:– ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়ে যা হয়েছে তা পরিকল্পিত। প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে আইএসএফের সমাবেশে যোগ দিতে আসা ভাঙগড়ে isf কর্মীদের মারধর করে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। এবং বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ওপর যে ভাবে পুলিশ নির্যাতন করেছে , লাঠি চার্জ করেছেন তাতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে আই এস এফের কর্মী সমর্থকরা। নওশাদ সিদ্দিকী সহ একাধিক নেতা কর্মীদের লালবাজারে পেটাতে পেটাতে নিয়ে যাওয়া হয়। জামিন অযোগ্য ১৩ টি মামলা দেওয়া হয়। এই পুরো ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র শাসক দলের এমনি দাবি করছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। নওশাদ সিদ্দিকী সহ সমস্ত বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সিপিআইএম, সিপিআই, পিসিসি সহ একাধিক দল যুক্ত হয়ে অর্থাৎ সর্বদলীয় সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।

তাদের দাবি ধর্মতলায় বিনা প্ররোচনায় যে সকল পুলিশ লাঠি চার্জ করেছে তাদের শাস্তি দিতে হবে পাশাপাশি ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম সহ সব দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। তারা আরও জানান সংবাদ মাধ্যম ও শাসক দল ২১ জানুয়ারি ঘটনাকে বিকৃত করেছে। মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এই রাজ্যে তৃণমূলের অপশাসন চলছে।

রাজ্যে বিরোধী দলের অধিকারের প্রশ্ন উঠছে। নওশাদ সিদ্দিকীকে যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে গনতন্ত্র বলে কিছু নেই। মূল অভিযুক্ত আরাবুল ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি বাজেট অধিবেশনে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী থাকতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নওশাদ সিদ্দিকীকে এই ভাবে আটকে রাখা শাসক দলের পরিকল্পিত প্ল্যান, বলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। এই পুরো মিথ্যা ঘটনার প্রতিবাদের দাবিতে এবং জেল থেকে নওশাদ সিদ্দিকীকে বের করার দাবিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১ সময় প্রতিবাদ মিছিল হবে। রামলীলা ময়দানে থেকে রানি রাসমণি পর্যন্ত মিছিল হবে। সব রাজনৈতিক বিরোধী দল ও জনগণ রাজনৈতিক ও গণতন্ত্র সব দল মিলে হবে। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে ভাঙগড়ে ১৫ তারিখ মিছিল হবে। এবং ভাঙগড় চলো অভিযান হবে যা ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর তারিখ ঘোষনা করা হবে।