চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাজিক দেখালেন নরওয়ের তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। আরবি লেইপজিগের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের ওপর বুলডোজার চালিয়ে দিল পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দল। 7-0 গোলে জিতলেন আর্লিং হালান্ডরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেললেন আর্লিং হালান্ড। একাই করলেন পাঁচ গোল। ম্যাচের 22 মিনিট থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণের গোলের বন্যা বইয়ে দিলেন নরওয়ের এই ওয়ান্ডার কিড। পেনাল্টি থেকে 22 মিনিটে গোল করার দু মিনিট পরই অন ফিল্ড গোল করলেন এই তারকা স্ট্রাইকার। তখনও আরবি লেইপজিগ কিছুটা লড়াই দিচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতিত যে এতটা বেগতিক হবে তা বুঝতে পারেননি ভার্দিওল, টিমো ওয়েরার্নার, এমিল ফোর্সবার্গরা। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করে ম্যান সিটিকে 3-0 গোলে এগিয়ে দেন আর্লিং হালান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর 4 মিনিটের মধ্যেই গোল করে সিটির ব্যবধান আরও বাড়ান ইকে গুন্ডোগান। 53 মিনিটে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন হালান্ড। 5-0 গোলে এগিয়ে যায় তারা। 57 মিনিটে ফের গোল। এবার ব্যবধান 6-0 করেন সেই নরওয়ের তারকাই। হাফ ডজন গোল দিয়েও থেমে থাকেনি ম্যান সিটি। 63 মিনিটে অবশ্য হালান্ডকে রিজার্ভ বেঞ্চে তুলে নেন পেপ গুয়ার্দিওয়ালা। যার ফলে তিনি আর ডবল হ্যাটট্রিকের সুযোগ পাননি। নাহলে যেভাবে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো তিনি প্রতিপক্ষকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিলেন, তাতে তার পক্ষে আর একটা গোল করা মোটেই কঠিন কাজ হত না। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে আরবি লেইপজিগের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে 7-0 গোলে জয় নিশ্চিত করেন কেভিন ডি ব্রুইন। প্রথম লেগের ম্যাচে 1-1 গোলে ড্র করেছিল দুই দল। কিন্তু ঘরের মাঠে এমন প্রতিশোধ যে সিটিজেনরা নেবে, তা বোধহয় অতি বড় সিটি সমর্থকও ভাবতে পারেননি।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.