ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক:- নিয়ম অনুযায়ী কোনশিক্ষক স্কুলে ৫ বছর চাকরি করার পর তিনি বদলির আবেদন করলে স্কুল কতৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট স্কুল তাকে বদলি র NOC দিয়ে দেবেন। কিন্ত সেই নিয়ম না মানার অভিযোগ।
সম্প্রতি সময়ে শিক্ষক বদলি নিয়ে বার বার সরব হন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। স্কুলের ছাত্র শিক্ষকের অনুপাত নিয়েও রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকেও পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু প্রতিদিন ১২০কিলোমিটার যাতায়াত করা দুই শিক্ষকের বদলির অনুমতি দিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়।
মালদা জেলার ভাদো বি এস হাইস্কুলের কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা এবং বাংলার শিক্ষক ২০১৩সালের SLST নিয়োগে চাকরি পান দুই শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও গৌতম প্রামাণিক।তারা দুজনেই বাড়ির কাছাকাছি বদলি চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু স্কুলের পরিচালন কমিটি দুই শিক্ষকের বদলির আবেদন করার জন্য যে NOC দরকার বার বার আবেদন করেও তাদের এনওসি দিচ্ছিল না।
সরকারি নিয়ম নির্দেশ না মেনেই এই দুই শিক্ষকের থেকে যারা অনেক পরে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বদলির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছেন। অথচ এই দুইশিক্ষকের বারবার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা এবং বাংলার শিক্ষক মোট স্কুল কর্তৃপক্ষকে ১৪ বার আবেদন করেছে স্কুল বারবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রধান শিক্ষক তাদের থেকে যারা জুনিয়র তিন সহকারী শিক্ষককে একবার আবেদন করাতেই তাদের স্কুলের কাছাকাছি। এ বিষয়ে মালদার জেলার স্কুল পরিদর্শক, স্কুল শিক্ষা দপ্তর , এসএসসি, সর্বশেষ কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের এর কাছেও আবেদন জানিয়ে কোন সূরা না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারে দুই শিক্ষক।
এদের মামলা শুনানি চলাকালী ন আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে যারা জুনিয়র সহশিক্ষক তাদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছে বেআইনিভাবে। অথচ সিনিয়র শিক্ষকদের এনএসসি দেওয়ার ক্ষেত্রে বারবার স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি দেখিয়েছে প্রধান শিক্ষক। যা ট্রান্সফার রুলের পরিপন্থী। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ এনেছেন আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেন আবেদনকারীদের বারবার আবেদন নাকচ করেছে বেআইনিভাবে। ২০১৩ সাল থেকে একই স্কুলে চাকরি করেও তারা ট্রান্সফার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা শিক্ষক মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দার এবং বাংলার শিক্ষক গৌতম প্রামাণিক তিনি থাকেন মালদার গাজলে।
বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় নির্দেশ দেন অবিলম্বে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে কেন শুধুমাত্র এই দুইজন শিক্ষকের বদলি নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে শিক্ষকদের বদলি বিবেচনা করে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানানোর নির্দেশ।