Date : 2024-04-24

বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ। রাজ্যে পরিদর্শনে সে দেশের প্রতিনিধিদল

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : রাজ্যের মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ বা সংক্ষেপে ‘বিএসকে’। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্প নিজেদের দেশে কিভাবে চালু করা যায় তা খতিয়ে দেখতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠালো বাংলাদেশ সরকার। সোমবার হাওড়া জেলার কয়েকটি বিএসকে ঘুরে দেখেন এই প্রতিনিধিদল।

সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা যাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই কারণে প্রায় আড়াই বছর আগে শুরু করা হয়েছিল ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’। জাতিগত শংসাপত্র থেকে শুরু করে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন পরিষেবার জন্য আবেদন করা, বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি রয়েছে। রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে মোট ৩,৫৬১ টি বিএসকে চালু রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে।

মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও প্রায় ১,৪৬১ টি বিএসকে চালু করা হবে কিছুদিনের মধ্যে। চালু হওয়ার পর থেকে গত আড়াই বছরে এখনো পর্যন্ত এই সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ যে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন তার পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি ৫০ লক্ষ‌। এইসব সহায়তা কেন্দ্রে ই-ওয়ালেট এর মাধ্যমে মাসিক গড় লেনদেনের পরিমাণ প্রায় কুড়ি কোটি কোটি টাকা। এই লেনদেনের পরিমাণ দৈনিক গড়ে এক কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেভাবে এই সহায়তা কেন্দ্রের জনপ্রিয়তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে তাতে সরকার আশা করছে এই লক্ষ্যমাত্রাও খুব তাড়াতাড়ি তারা ছুঁয়ে ফেলতে পারবে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের এই সাফল্যই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে‌ সেই কারণে সে দেশের সরকার ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আমাদের রাজ্যে পাঠিয়েছে। সোমবার এই প্রতিনিধি দলটি হাওড়া জেলার বেশ কয়েকটি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলিত হন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মহঃ তহুরুল হাসান, অশোক কুমার বিশ্বাস, কামাল হোসেন ও মহঃ মাসুম বিল্লাহ।