Date : 2024-04-25

নজরে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভ্যান্স সেল। দায়িত্বে আনা হলো আরও চার আধিকারিককে।

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেই রয়েছে CM grievance cell বা মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল। প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে অভিযোগ জমা পড়ে এই সেল-এ। সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে করার জন্য সেল এর দায়িত্বে নতুন করে আরও চারজন ডাব্লিউবিসিএস (WBCS-Exe) পদের আধিকারিককে নিয়ে আসা হলো। এই চারজনের মধ্যে তিনজনকে ওএসডি (Officer on Special Duty) ডেপুটি সেক্রেটারি পদে ও একজনকে ওএসডি পদে নিয়ে আসা হলো। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে CM grievance cell এর কাজ আর‌ও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য‌ই এই আধিকারিকদের নিয়ে আসা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নবান্নে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তির দিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। প্রয়োজনে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ‌ও দেওয়া হয়েছিলো বলে খবর। তারপর গত বৃহস্পতিবার (০৯/০৩/২৩) সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকেও এই বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব সহকারে (Effective use of CMO grievance) দেখার নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এবার সেই দফতরেই নিয়ে আসা হলো চার চারজন ডাব্লিউবিসিএস অফিসারকে। প্রসঙ্গতঃ ২০১৯ সালে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এবার থেকে তাঁর দফতরে একটি গ্রিভ্যান্স সেল খোলা হচ্ছে যেখানে রাজ্যের মানুষ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবে‌। এর জন্য একটা টোল ফ্রি নম্বর ও চালু হ‌ওয়ার কথা জানান তিনি। সেই টোল ফ্রি নম্বর টি হলো ১৮০০৩ ৪৫৮ ২৪৪। এছাড়া একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস আছে এই অভিযোগ পোর্টালের। সেটি হলো [email protected]

নবান্ন সূত্রে খবর, শুরু হ‌ওয়ার পর থেকে এই অভিযোগ নিষ্পত্তি সেলে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছিলো তার প্রায় ৯৯.৮ শতাংশ অভিযোগের সমাধান করা গিয়েছে। মোট ১১.৫০ লক্ষ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সরকারি দফতরে অভিযোগ জানিয়ে তার নিষ্পত্তি হ‌ওয়ার এই হার ২০২০ সালের স্কচ পুরষ্কার (SKOCH Award) পাইয়ে দেয় রাজ্যকে। ৯৯.৮ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তির পরেও নতুন করে এই চার আধিকারিককে সেল এ নিয়ে আসার কারণ কি ? নবান্ন সূত্রে খবর, ‘দিদির দূত’ নামক রাজ্যের শাসকদলের কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা যেসব অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন, সেগুলোই তারা পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। রাজ্য সরকারের বিশেষ ১৫টি প্রকল্পের বিষয় যেসব অভিযোগগুলো জমা পড়েছে সেগুলোকে খতিয়ে দেখে তার নিষ্পত্তি করতে হবে। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই অভিযোগের নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে যাতে কর্মী অভাবে সেই কাজ আটকে না থাকে সেই কারণেই নতুন করে এই চারজন wbcs এক্সিকিউটিভ পদের আধিকারিকদের গ্রিভ্যান্স সেল-এ নিয়ে আসা হল। যে চারজনকে গ্রিভ্যান্স সেল-এ নিয়ে আসা হলো তারা হলেন, শ্রী অরুন পাল (WBCS-EXE,2011), তিনি বাঁকুড়া জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে ছিলেন। শ্রী প্রদীপ কুমার দাস(WBCS-EXE,2004), তিনি কর্মিবর্গ বিভাগে ছিলেন। শ্রী সত্যজিৎ বিশ্বাস (WBCS-EXE,2013), দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর সাব-ডিভিশনে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে ছিলেন। এই তিনজনকেই OSD Deputy secretary, Grievance Cell এবং শ্রী বিশ্বজিৎ ডং(Dhang)(WBCS-EXE,2014) যিনি নদীয়া জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে ছিলেন তাঁকে ওএসডি গ্রিভ্যান্স সেল, এই পদে নিয়ে আসা হলো।