Date : 2024-04-27

অর্থের যোগানে আবগারি ভরসা। মদে লক্ষীলাভ রাজ্যের

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ একে ভাঁড়ে মা ভবানী, তায় কেন্দ্রের থেকে বকেয়া পাওনা আদায় হচ্ছে না। এমতাবস্থায় রাজ্যের কোষাগারে অর্থের যোগান দিচ্ছে আবগারি দফতর। যা দিয়েই আপাতত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি চালিয়ে যেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

‘লক্ষীর ভান্ডার’ থেকে শুরু করে ‘রুপশ্রী’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘সবুজ সাথী’, ‘স্বাস্থ্য সাথি’ প্রভৃতি একগুচ্ছ প্রকল্প চালাতে যে অর্থের প্রয়োজন তা জোগাড়ে হিমসিম অবস্থা রাজ্যের অর্থ দফতরের। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্প। কেন্দ্রের থেকে যে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে সেই টাকা পেয়ে গেলে এই কাজগুলো চালিয়ে নিয়ে যেতে হয়তো তেমন কোনো সমস্যা হতো না রাজ্য সরকারের। কিন্তু বারবার তদ্বির করেও দু’একটি ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া ছাড়া বেশিরভাগ বকেয়া টাকাই আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। বহুবার এই অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও বলেছিলেন যে কেন্দ্র যদি টাকা কেটে না নিয়ে যায় তাহলে সব প্রকল্পগুলি তাঁরা খুব ভালোভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। অর্থের যোগানের জন্য একদিকে যেমন রাজ্যে নতুন শিল্প স্থাপনে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার তেমনি অন্য পথেও কিভাবে অর্থের সংস্থান করা যায় তা নিয়েও সচেষ্ট সরকার। এই অবস্থায় রাজ্যের কাছে আশার আলো দেখাচ্ছে আবগারি দফতর। এই বিশাল খরচের বহর সামলাতে আবগারি দফতরের রোজগারকেই অন্যতম পথ হিসাবে দেখছে নবান্ন। সূত্রের খবর, গত অর্থ বর্ষের তুলনায় এখন‌ই আবগারি দফতরের আয় ছাপিয়ে গিয়েছে। এখনও পুরো মার্চ মাস হাতে আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে এই দফতরের (Excise Dept) আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১৬,৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু ইতিমধ্যেই ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১৩,৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মার্চ মাস পর্যন্ত বাকি তিন মাসে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে আয় আরো বেশকিছুটা বেশি হবে বলেই মত আবগারি দফতরের আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত গত দুই অর্থবর্ষে আবগারি দফতরের আয় যথেষ্ট বেশি হয়েছিলো। যার মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আদায় হয় ১০,৬৬৫ কোটি টাকা ও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা পৌঁছায় ১৩,৪৫০ কোটি টাকা। এই বিশাল পরিমানে টাকা আয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যবাসী অধিক পরিমানে মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে আবগারি দফতরের আধিকারিকদের মত হলো, তেমন ঘটনা নয়; বরং কর কাঠামোয় পরিবর্তন (নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের মদে কর বাড়িয়ে) করেই এই রোজগার সম্ভব হয়েছে।